‘মুজিব-একটি জাতির রূপকার’ ১৩ অক্টোবর মুক্তি পাচ্ছে

ট্রেলার ও পোস্টার উদ্বোধনে তথ্যমন্ত্রী

| সোমবার , ২ অক্টোবর, ২০২৩ at ৪:৫৫ পূর্বাহ্ণ

বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুজিবএকটি জাতির রূপকার’ আগামী ১৩ অক্টোবর মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা করে ট্রেলার ও পোস্টার উদ্বোধন করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল বলরুমে এ উপলক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, আমরা এত খুশি যে, চার বছরের পথ পরিক্রমায় আজকে আমরা ‘মুজিবএকটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি মুক্তি দিতে যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ ১৩ অক্টোবর এই ছবিটি সমগ্র বাংলাদেশে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। খবর বাসসের।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, প্রধান তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেক, চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন, বায়োপিক লাইন ডিরেক্টর সতীশ শর্মা অনুষ্ঠানে তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন ও শিল্পীদের নিয়ে মন্ত্রীর সাথে পোস্টার উন্মোচনে অংশ নেন। বিদেশ থেকে এ উপলক্ষে পরিচালক শ্যাম বেনেগাল এবং বঙ্গবন্ধুর চরিত্রাভিনেতা আরিফিন শুভর পাঠানো ভিডিও বার্তা ও সিনেমাটির ট্রেলার দর্শকদের ছুঁয়ে যায়। তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই ছবি শুধুমাত্র একটি সিনেমা নয়, এটি বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক। ‘মুজিবদ্য মেকিং অভ আ নেশন’ (মুজিবএকটি জাতির রূপকার) ছবিতে বাংলাদেশের ইতিহাস, অভ্যুদয়ের ইতিহাস আছে। কারণ এই বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্র গঠিত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মুজিবএকটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রটি জাতির জন্য একটি দলিল। এটি শুধু সিনেমা নয়, এই ছবিটি জাতির জন্য ইতিহাসের একটি দলিল। বঙ্গবন্ধু কীভাবে একটি জাতির রূপকার হলেন, সেটিই এই ছবিতে চিত্রায়িত হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতির জন্য তার যে সংগ্রাম, তার যে ত্যাগ, তার যে দৃঢ়তা, ফাঁসির মুখোমুখি দাঁড়িয়েও তিনি কিভাবে অবিচল ছিলেন, সেগুলো এই ছবিতে উঠে এসেছে। সবচেয়ে বড় কথা যেটি সেটি হচ্ছে, ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কথা আমরা জানি, কিন্তু সেই ঘটনা কোনো জায়গায় কখনো চিত্রায়িত হয়নি, শুধু এই ছবিতে চিত্রায়িত হয়েছে এবং সেই ঘটনা দিয়েই এই ছবির সমাপ্তি ঘটেছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই ছবিটি আমি তিনচারবার দেখেছি এবং এই ছবি প্রথম জনসম্মুখে প্রদর্শিত হয় টরন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। সেখানে বাঙালির বাইরেও বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন। ২ ঘণ্টা ৫৮ মিনিট অর্থাৎ ৩ ঘণ্টার এ ছবি চলাকালে একটি মানুষ ১ মিনিটের জন্য নড়েনি এবং সেখানে কোনো বিরতি ছিল না। এতেই প্রমাণিত হয় যে, এই ছবিটা কিভাবে দর্শক ধরে রাখবে, কিভাবে দর্শক টানবে। আমরা এই ছবি মুক্তি দিতে যাচ্ছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশুধিতে হইবে ঋণ
পরবর্তী নিবন্ধজাকী ভাইয়ের স্মরণে…