মুজিববর্ষ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল আজ

কী বার্তা নিয়ে আসছেন কাজী সালাহউদ্দিন

ক্রীড়া প্রতিবেদক | রবিবার , ১৮ অক্টোবর, ২০২০ at ৪:২৬ পূর্বাহ্ণ

মামুনুল ইসলাম এবং শহীদুর রহমান সোহেল। চট্টগ্রামের এই দুই ফুটবলার জাতীয় দলে একে অপরের সতীর্থ। ক্লাব ফুটবলেও এ দু’জন খেলেন ঢাকা আবাহনীর হয়ে। দুইজনের মধ্যে মামুনুলের কাজ গোল করা আর সোহেলের কাজ গোল সেভ করা। জাতীয় দলে এবং ক্লাব ফুটবলে দু’জন সতীর্থ হলেও আজ মুজিববর্ষ ফুটবলে দু’জন একে অপরের প্রতিপক্ষ। আজ মামুনুল চাইবেন সোহেলের জালে বল পাঠাতে আর সোহেলের লক্ষ্য থাকবে সে বল রুখে দিতে।
করোনাকালে চট্টগ্রামে প্রথম মাঠে গড়ায় ফুটবল। তাও যেনতেনভাবে নয়। একেবারে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল। গত ৯ অক্টোবর মাঠে গড়ানো মুজিববর্ষ ফুটবল টুর্নামেন্ট আজ শেষ হবে ফাইনালের মধ্য দিয়ে। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে শিরোপা লড়াইয়ে নামবে আবু তাহের পুতু একাদশ এবং ডা. কামাল এ খান একাদশ। এদের মধ্যে আবু তাহের পুতু একাদশ অজেয় থেকেই ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। অপরদিকে ডা. কামাল এ খান একাদশ লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে হেরেছে আবু তাহের পুতু একাদশের কাছে। আজ শেষ হাসি হাসবে কোন দল সেটাই এখন দেখার অপেক্ষায় ফুটবল প্রেমীরা।
করোনাকালে সারা দেশের ক্রীড়াঙ্গন যখন স্থবির তখন সরকারি সব শর্ত মেনে মুজিববর্ষ উপলক্ষে এই ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা। যেখানে জাতীয় দল, বাংলাদেশ লীগের দল, চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার এবং প্রথম বিভাগ লীগে খেলা ৯২ জন ফুটবলার অংশ গ্রহণ করেন চারটি দলে ভাগ হয়ে। এরা সবাই চট্টগ্রামেরই ফুটবলার। আর এই টুর্নামেন্টের দলগুলোর নামকরণ করা হয় জেলা ক্রীড়া সংস্থার চারজন প্রয়াত সাধারণ সম্পাদকের নামে। যেখান থেকে ফাইনালে খেলবে আবু তাহের পুতু একাদশ এবং ডা. কামাল এ খান একাদশ। বাকি দু’দল ছিল রফিক আহমেদ চৌধুরী একাদশ এবং এস এম কামাল উদ্দিন একাদশ। করোনাকালের এই টুর্নামেন্ট চট্টগ্রামের ফুটবলার যারা দেশের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে সব পর্যায়ে খেলেন তাদের ফিটনেস ফিরে পেতে সহায়তা করবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছিল। সে লক্ষ্যও অনেকটাই পূরণ হয়েছে বলে মনে করেন ফুটবলাররা। আজকের ম্যাচে সোহেল এবং মামুনুলের মধ্যে লড়াইটা বেশ জমবে বলে মনে করছেন ফুটবল বোদ্ধারা। যদিও শতভাগ ফিট না থাকায় লীগ পর্বের তিন ম্যাচের একটিতে মাত্র কিছু সময়ের জন্য মাঠে নেমেছিলেন মামুনুল। তবে আজও প্রথম একাদশে তিনি থাকবেন কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সেক্ষেত্রে হয়তো তিনি বদলি হিসেবে নামতে পারেন। অপরদিকে আরেক জাতীয় তারকা সোহেল প্রথম দুই ম্যাচে খেললেও শেষ ম্যাচটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়ায় সে ম্যাচে খেলেননি। তবে আজ তার কাধেই দলের দায়িত্ব। কারণ তিনি দলের অধিনায়ক। তাই দলেকে শিরোপা জেতাতে কতটা ভূমিকা রাখতে পারেন সোহেল সেটাই দেখার অপেক্ষায় সবাই।
আজ ফাইনাল খেলা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার বিতরণ করবেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নবনির্বাচিত সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন। গত ৩ অক্টোবর চতুর্থ মেয়াদের জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর এটাই সালাহউদ্দিনের প্রথম কোনো সফর। আর সেটি হচ্ছে চট্টগ্রামে। এরই মধ্যে জেলার ফুটবল দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছেন কাজী সালাহউদ্দিন নিজেই। তাই চট্টগ্রামে তিনি কী সুখবর নিয়ে আসেন সেটা জানতে এখন অপেক্ষায় থাকতে হবে। চট্টগ্রামের ফুটবলের উন্নয়নে কাজী সালাহউদ্দিন কী ঘোষণা দেন সেটাও জানতেও উদগ্রিব চট্টগ্রামের ফুটবলার সংগঠক সবাই। কারণ নতুন সভাপতির প্রথম সফর বলে কথা। যদিও গত ১২ বছর বাফুফে সভাপতি থাকাকালে খুব কমই চট্টগ্রামে এসেছেন কাজী সালাহউদ্দিন। সে জায়গায় এবারে প্রথম সফরটা চট্টগ্রামেই করছেন বাফুফে সভাপতি। তাই সংগত কারণে চট্টগ্রামের ফুটবলারদের প্রত্যাশাটা একটু বেশি। কাজেই এখন দেখার বিষয় কী ঘোষণা দিয়ে যান বাফুফে সভাপতি মুজিববর্ষ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমন্টুসহ ৮ জন গণফোরাম থেকে বহিষ্কার, কাউন্সিল ১২ ডিসেম্বর
পরবর্তী নিবন্ধতৃতীয় বর্ষেই ২৭ মাস