শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ছয় অর্থবছরে ১২৬১ কোটি ৫ লাখ টাকা খরচ করেছে বলে তথ্য পেয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় সংসদ, বাংলাদেশের মহা হিসাব–নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের খরচের হিসাব তুলে ধরা হয়। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এই সভায় চলতি ২০২৪–২০২৫ অর্থবছর থেকে এ সংক্রান্ত বাজেট বরাদ্দ বাতিল করা হয়। খবর বিডিনিউজের।
মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে ২০১৮–১৯, ২০১৯–২০, ২০২০–২১, ২০২১–২২, ২০২২–২৩, ২০২৩–২৪ অর্থবছরে খরচের বরাদ্দ ছিল বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বৈঠকে জানায়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনার শাসনামলে বিপুল সমারোহে মুজিব জন্মশতবার্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০২০ সালে। কোভিড মহামারিতে সেই আয়োজন বাধাগ্রস্ত হলেও পর পর দুই বছর দেশি–বিদেশি অতিথিদের নিয়ে আড়ম্বরপূর্ণভাবে হয় সেই উদযাপন।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বিকালে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এটা হল শুধু টাকা অপচয়ের হিসাব। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের জায়গায় যেভাবে মুজিব স্কয়ার করে লক্ষ লক্ষ স্কয়ারফিট জায়গা নষ্ট করা হয়েছে, সেই জায়গার মূল্য যদি দেখেন, এই সমস্ত স্ট্যাচু বানানোর মূল্য যদি দেখেন, সেটা লাখ কোটি টাকায় পৌঁছাতে পারে বলে আমার ধারণা।