মুছা ভোলাসহ পলাতক তিন আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

মিতু হত্যা মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৩ জুলাই, ২০২১ at ৫:২৩ পূর্বাহ্ণ

চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার পলাতক তিন আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। এরা হলেন কামরুল ইসলাম শিকদার মুছা (মিতুর স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে পরিচিত), এহতেশামুল হক ভোলা ও খাইরুল ইসলাম কালু। এদের মধ্যে কালু ও মুছা শুরু থেকেই পলাতক। অপরজন ভোলা গ্রেপ্তার হয়ে জামিনে গিয়ে পলাতক। গতকাল সোমবার মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমানের আদালত এ নিষেধাজ্ঞা আদেশ দিয়েছেন। এর আগে গত ৫ জুলাই মামলার তদন্তকারী সংস্থ্যা পিবিআই তাদের তিনজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
পিবিআই মেট্রোর পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য মিতু খুনের ঘটনায় গত ১২ মে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তার, তার সোর্স মুছাসহ ৮ জনকে আসামি করে তার শ্বশুর নতুন একটি মামলা দায়ের করেন। একপর্যায়ে বাবুল আক্তারকে এ মামলায় গ্রেফতারও দেখানো হয়। আগের দিন ১১ মে ঢাকা থেকে ডেকে নিয়ে তাকে হেফাজতে নেয় পিবিআই। শ্বশুরের দায়ের করা সে মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড শেষে গত ১৭ মে বাবুল আক্তারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। বর্তমানে বাবুল আক্তার ফেনী কারাগারে রয়েছেন। উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নির্দেশে তাকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। এই ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। সে সময় বাবুল আক্তার দাবি করেন, জঙ্গিরাই তার স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করেছেন। পাঁচলাইশ থানায় করা উক্ত মামলায় ডিবি পুলিশ হয়ে মামলার তদন্ত কাজের দায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। দীর্ঘ সময় তদন্ত শেষে গত ১২ মে গুরুত্বপূর্ণ এ মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। যেখানে বলা হয়, বাবুল আক্তারই স্ত্রী মিতুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকবি নূরুল হুদা বাংলা একাডেমির নতুন মহাপরিচালক
পরবর্তী নিবন্ধনগরীর ‘ফুসফুস’ সিআরবিতে হাসপাতাল নয়