সূর্যের আলোয় সোনালী আভায় জানান দিচ্ছে তার গৌরবের ইতিহাস, নগরীর উত্তর হালিশহর চৌধুরী পাড়ার আসগর আলী চৌধুরী জামে মসজিদ। মসজিদটি ১৭৯৫ সালে নির্মিত। ২৩০ বছর আগে মুঘল স্থাপত্যরীতি অনুসরণ করে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। জমিদার আসগর আলী চৌধুরীর উত্তর পুরুষ গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী জানান, ৮ বছর আগে ৬০ লাখ টাকা নিজস্ব খরচে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে মসজিদটি সংস্কার করা হয়। এরআগে ২০১৬ সালে নির্মাণ করা নতুন আরেকটি মসজিদ। নতুন মসজিদটির স্থাপত্যশৈলীও নজরকাড়া। পুরাতন আসগর আলী চৌধুরী জামে মসজিদে বছরে ১১ মাস ফজরের নামাজ হয়। বাকি চার ওয়াক্তের নামাজ হয় নতুন মসজিদে। তিন কাতারে ১৩ জন করে মুসল্লিরা এখানে নামাজ আদায় করতে পারে। আসগর আলী চৌধুরীর ছেলে অছি মিয়া চৌধুরী তাঁর পূর্ব পুরুষের ৫২৩ একর সম্পত্তি ওয়াকফ করে যান। সেই ওয়াকফ থেকেই মসজিদটি পরিচালনা করা হয়।
চুন–সুরকিতে নির্মিত মসজিদটির সামনের দেয়াল ও চার পাশের পিলার নকশা করা। মসজিদটিতে একটি বড় গম্বুজ ও দুইটি ছোট আকারের গম্বুজ আছে। মিনার আছে ২৪টি। মসজিদের উত্তর–দক্ষিণে দুই পাশে দুটি জানালা। ছাদের গম্বুজ ঘিরেও আছে নকশা। মসজিদের উত্তর পাশেই কবরস্থান। সেখানেই জমিদার আসগর আলী চৌধুরী পরিবারের পারিবারিক কবরস্থান। পাশেই পুকুর পাড়ে নতুন মসজিদটি নির্মাণ করা হয় ১০ বছর আগে। নতুন মসজিদের তিন দিকেই পানি। নকশা ও আলো–বাতাস চলাচলের সুবিধার কারণে মসজিদটি অত্যন্ত শীতল। আসগর আলী চৌধুরী জামে মসজিদ দেখতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এমনকি বিদেশ থেকেও মানুষ আসেন। এই মসজিদ দেখতে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এসেছিলেন।