মুখে খাওয়ার ওষুধ কতদূর

কোভিড-১৯

| সোমবার , ২৪ মে, ২০২১ at ৭:২৬ পূর্বাহ্ণ

বিশ্বজুড়ে নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যখন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করল, সে সময় ২০২০ সালের শুরুতেই বিশ্বের নামকরা বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি এবং বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা তৎপর হয়েছিলেন কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা এবং ওষুধ উদ্ভাবনের জন্য। তারপর পেরিয়ে গেছে প্রায় দেড় বছর। মাহামরীর প্রথম ঢেউ নেমে আসার আগেই একাধিক টিকা উদ্ভাবনের ঘোষণা এসেছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত মুখে খাওয়ার কোনো কার্যকর ওষুধ বাজারে আনতে পারেনি কোনো কোম্পানি। তবে কোভিড-১৯ ঠেকানোর পিল উদ্ভাবনের চেষ্টা থেমে নেই। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে অগ্রগতির কিছু চিত্র উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ কোম্পানি ফাইজার ইনকরপোরেশন কোভিড-১৯ এর সম্ভাব্য চিকিৎসা পদ্ধতির খোঁজে ২০২০ সালের শুরুতে কেমিস্ট ও বিজ্ঞানীদের একটি দল গঠন করে, যাকে তারা ‘সোয়াট টিম’ নাম দেয়। বিশ্বের অন্যতম বড় এই ওষুধ কোম্পানি কোভিড-১৯ এর টিকা উদ্ভাবনের চেষ্টা শুরুর পাশপাশি একটি মুখে খাওয়ার পিল তৈরির জন্যও কাজ শুরু করে, যা সংক্রমণ বৃদ্ধিকে থামাতে পারবে। সেই পিল হবে অনেকটা টামি ফ্লুর ওষুধের মত, যা ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত। কেমিস্ট ও বিজ্ঞানীদের দলটি দ্রুতই ফাইজারের পরীক্ষাগারে বড় ধরনের অগ্রগতি অর্জন করেন। তবে এক বছরের বেশি কেটে গেলেও, এখনও বড়-আকারে সেই ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করা যায়নি। তবে তারা আশা করছে, জুলাইয়ে সেই প্রক্রিয়া তারা শুরু করতে পারবে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মুখে খাওয়ার পিল উদ্ভাবনের প্রতিযোগিতায় সামিল হয়েছে ফাইজারের প্রতিদ্বন্দ্বী ওষুধ কোম্পানিগুলোও। যাদের মধ্যে আছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মেরক অ্যান্ড কোম্পানি ইনকরপোরেশন এবং সুইজারল্যান্ডের ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি রোশ হোল্ডিংস এজি। এসব কোম্পানি নিজস্ব পিল উদ্ভাবনের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে, যেগুলো কোভিড-১৯ রোগের প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দিলে মানুষ সেবন করতে পারবে। তাদের সাধারণ লক্ষ্য হল, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শিকার হওয়া রোগীদের মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়া এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এড়ানোর সুযোগ করে দিয়ে এই মহামারীর চিকিৎসায় যে শূন্যস্থানটি আছে তা পূরণ করা। কিন্তু মহামারী শুরুর দেড় বছর পরেও, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট কোভিড-১৯ রোগের বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে সহজে- প্রয়োগযোগ্য কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি এখনও প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআরব দেশগুলোর বিরুদ্ধে নীরব থাকার অভিযোগ রুহানির
পরবর্তী নিবন্ধচীনে ২১ অ্যাথলেটের মর্মান্তিক মৃত্যু