বিজয়ের আলোয় উদিত হয়, অরুণিমার প্রথম কিরণ, এ যেন সূর্যের সোনালি নৌকা, যে নিয়ে আসছে শান্তির পারাবার। পাশাপাশি ভেসে ওঠে আকাশের নীল, এক দুঃসাহসী অগ্নি, যেন হাজারো মুক্তিযোদ্ধার ত্যাগের ঝিলিক, যাদের রক্ত হলো রঙিন বর্ণমালা। হাওয়ার বেগে ভেসে চলে এক স্বপ্নময় জাহাজ, এ যেন বাংলার মাটির গন্ধ, যার ধ্বনি পৌঁছেছে সারা পৃথিবীজুড়ে। মাটি, আকাশ আর জল–সবই হয়ে ওঠে এক অটুট বন্ধন, যেমন নদীর স্রোত আর পাথরের অনন্ত শীতলতা, এক সাথে মিলন করে।
বীরেরা যেভাবে যুদ্ধ করেছিলেন, সেগুলো ছিলো জয়ের অঙ্গীকার,
যেন অন্ধকার রাতের মধ্যে জ্বলন্ত দীপ, যা পথ দেখায় পাড়ি দেয়ার জন্য। পলাশের ফুল, শুকনো পাতার মতো, মাটির বুকে লুকিয়ে থাকা স্মৃতি, এরা যেন বিজয়ের পরিহাসের নীরব সাক্ষী, অশ্রু এবং হাসির সঙ্গী। মুক্তির স্রোত যখন প্রবাহিত হল, তখন ভেসে আসলো এক স্বাধীন নদী, যা ছড়িয়ে দিচ্ছিলো শান্তির অমৃত, এক অমলিন প্রাপ্তির গান। যার ভেতর বাজছিল বিজয়ের এক মন্ত্র, যা আজও আমাদের শরণার্থী, সে নৌকার মতো, যেটি পাড়ি দিয়েছে দীর্ঘ সাগরের রক্তিম ঢেউয়ে।
এ বিজয় এক পৃথিবীকে উন্মোচন করে, এক বীণার সুরে,যার তালে তালে আজও চলে গানের স্বর, এই দেশের রক্তের ভিড়ে। বিজয়ের সব চিহ্ন, মেঘের মাঝে রঙিন অভিসন্ধি,সন্ধ্যাবেলায় এক পতাকার মতো সশব্দে উড়তে থাকে, আমরা সকলেই এক সাথে, এক গৌরবময় ধ্বনিতে।
মুক্তির নৌকা এগিয়ে চলেছে, এক পৃথিবীকে ভরিয়ে দিয়ে,
অথবা নীল আকাশে এক দীর্ঘ যাত্রা, যেখানে থেমে থাকে না জীবন।
মুক্তির গান এখন আমাদের অঙ্গীকার, বাংলার হৃদয়ে বাজে,
এ যেন নদী, সাগর, আকাশ–সবই আমাদের সম্পদ, এক অমৃত যাত্রার অকাল পরিসমাপ্তি যেন।