আজ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস হিসেবে এবং ‘সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান’ দিবস হিসেবে পালন করবে। সিপাহী বিপ্লবের নামে এদিন থেকে শুরু হয় মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্যদের হত্যা প্রক্রিয়া। ১৯৭৫ সালের এদিনে সিপাহী বিপ্লবের নামে প্রথমে হত্যা করা হয় তিন খ্যাতনামা মুক্তিযোদ্ধাকে। এরা হলেন, খালেদ মোশাররফ বীর উত্তম, কে এন হুদা বীর উত্তম এবং এটি এম হায়দার বীর বিক্রম। দশম বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদর দপ্তরে অবস্থানকালে সকালে তাদের একেবারে কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে কোম্পানি কমান্ডার আসাদ এবং জলিল।
সাংবাদিক অ্যান্থনি ম্যাসকারেনহ্যাস এ ব্যাপারে লিখেছেন, ‘এছাড়াও এদিন উচ্ছৃঙ্খল জওয়ানরা একজন মহিলা ডাক্তারসহ ১৩ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এমন কি একজন সেনা কর্মকর্তার স্ত্রীকেও এ সময় হত্যা করা হয়।’
এর আগে ৬ নভেম্বর ভোর রাতে গৃহবন্দি জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করতে যায় বঙ্গবন্ধুর খুনি ফারুকের ল্যান্সার বাহিনীর একটি দল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যায় যার বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল সেই ল্যান্সার মহিউদ্দিন ছিল এই দলের নেতৃত্বে। তারা জিয়াকে মুক্ত করে নিয়ে আসে কর্নেল রশিদের দুই নম্বর অ্যার্টিলারি রেজিমেন্টের দপ্তরে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ দিনটিকে সিপাহী জনতার অভ্যুত্থান দিবস পালন করবে। এ উপলক্ষে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটি আজ সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে জাসদ নেতা শহীদ কর্নেল তাহের বীর উত্তমের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।