মুক্তিযুদ্ধ না করেও যারা মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে তাদেরকে শাস্তি পেতে হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক–ই–আজম বীর প্রতীক। তিনি বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রথমে আমরা যাচাই করে দেখছি যে, বাস্তবিক অর্থে ঘটনাটা কী হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা নানা আঙ্গিকে হয়েছে, নানাভাবে হয়েছে। মন্ত্রণালয়েরও যারা এক্ষেত্রে কাজ করেন তাদেরও এ বিষয়ে নেতিবাচক একটি বিষয় ইম্পোজ করা আছে। সে সমস্যাগুলোকে আমরা যাচাই–বাছাই করে যাদেরকে সত্যিকার পাব তারা থাকবে এবং যাদেরকে পাব না তাদেরকে চলে যেতে হবে। তাদের অনেককে রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে প্রতারণার জন্য শাস্তিও পেতে হবে।
গতকাল শনিবার দুপুরে নগরীর সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ক সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ফারুক–ই–আজম বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে মুক্তিযোদ্ধার বিষয়টি বড় ইস্যু হয়ে এসেছিল। এটার বস্তুনিষ্ঠতা কী, সেটা মন্ত্রণালয়কে যাচাই করতে দিয়েছি এবং কাজ চলছে। কী পরিমাণ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের চাকরি কোটার মধ্যে হয়েছে এবং মুক্তিযোদ্ধারা কী অবস্থায় আছেন এবং কারা কারা মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন, এ সমস্ত কিছু আমরা জনসাধারণের কাছে উন্মুক্ত করে দেব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম, সিএমপি কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পর তিন দিনের সফরে চট্টগ্রামে আসা উপদেষ্টা ফারুক–ই–আজম নগরীর কোতোয়ালী থানা পরিদর্শন করেন। এ সময় পুড়ে যাওয়া থানার কয়েকটি কক্ষ ঘুরে দেখেন এবং পুলিশ সদস্যদের সাথে কথা বলেন। এরপর তিনি নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইন্সও পরিদর্শন করেন।