সব কটা জানালা খুলে দাওনা, আমি গাইবো.. গাইবো বিজয়ের গান। কত মায়ের বুক খালি হয়েছে, কত নারীর সম্ভ্রম ভেসে গেছে, কত পিতার কাঁধ ভারী হয়েছে সন্তানের লাশে, লাল রক্তের গ্রোতে এক সমুদ্র রক্ত সারা বাংলায় ছড়িয়ে গেছে, মা-বোনের বুকফাটা অশ্রুতে বাংলার বুকের শিরায় শিরায় বয়ে গেছে অশ্রুনদী, তারপর এসেছে সেই মুক্তির স্বাদ, আমাদের স্বাধীন মাতৃভূমি, আমাদের গৌরবগাথা বিজয়ের উল্লাস। প্রতিটি মুহূর্তে আমরা স্বাধীনতার ভালবাসায় মুড়িয়ে থাকি, আমরা ডানা মেলে আকাশে উড়ে আমরা বিজয় উদযাপন করি। এই অবাধ স্বাধীনতা বিজয়গাথা ইতিহাসকে প্রতিদিন একটু একটু করে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। আমাদের মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বিনম্র শ্রদ্ধার লক্ষ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কথা, দুই লক্ষের উপরে বীরঙ্গনা নারীদের হারিয়ে যাওয়া সম্ভ্রমের ইতিহাসকে সন্তানদের পাঠ্যবই পড়ার মতো করে সেই রক্তাক্ত সংগ্রামের ইতিহাস মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কে গুরুত্ব দিয়ে ছড়িয়ে দিতে হবে।
সেটা আমরা যথাযথ ভাবে করছি না রাষ্ট্রের কিছু দায়দায়িত্ব থাকে।এই দেশের বাঙালি বাবা মায়ের উচিত, প্রতিদিন একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁর মুক্তিযুদ্ধকালীন সংগ্রামের ইতিহাস সন্তানের কাছে তুলে ধরা। আমরা যেমন স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মহান বিজয়কে মনেপ্রাণে ধারণ করি, তেমনি সন্তানদের মাঝেও সেই অনুভূতিটা ছড়িয়ে দেওয়া আমাদের নৈতিক কর্তব্য। আমরা সন্তানদের মাঝে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মহান ইতিহাসকে যত বেশি তুলে ধরবো আমাদের সন্তান ততোবেশি দেশকে ভালবাসবে, তারা দেশ ও দশের জন্য কাজ করবে, দেশের দরিদ্র মানুষের কথা ভাববে, দেশের উন্নতির কথা চিন্তা করবে। একজন দেশ প্রেমিক সন্তান পারবে ভবিষ্যতের একটি আধুনিক উন্নত দেশ গঠন করতে। তাই আমাদের উচিত মহান স্বাধীনতার পিছনের রক্তাক্ত ইতিহাস আমাদের সন্তানদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া।
আসুন না, সন্তানদের ছোট্ট হাতে তুলে দিই একটি করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই। শুধুমাত্র পাঠ্যবইয়ের একটি গল্প পড়ে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস পুরোপুরি জানা যাবে না তার জন্য আমাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন সংগ্রামের ইতিহাস, মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধের সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। পরাজয়ের গ্লানি তে নয় নতুন প্রজন্ম উদ্ভাসিত হোক অমিত সম্ভাবনার বাংলাদেশের উজ্জ্বল সোনালী আলোয়।