কক্সবাজারের টেকনাফে শিশু তাহমিনা আক্তার (৬) হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুরুত্বপূর্ণ আলামত। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তার দুই আসামি। গতকাল বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, গত ২১ সেপ্টেম্বর টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিম পাড়ার মো. জলিলের শিশু কন্যাকে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশে অপহরণ করে পরে ব্যর্থ হয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ওইদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ডাঙর পাড়া এলাকায় বস্তাবন্দি অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের খবরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। যার প্রেক্ষিতে পুলিশ ও র্যাব ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে কাজ শুরু করে। পরে অনুসন্ধান ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে শাহপরীর দ্বীপ উত্তর পাড়ার মাঝের ডেইল এলাকার মোহাম্মদ আইয়ুবের ছেলে হাফেজ উল্লাহ (৩২) ও নুরুল ইসলামের মেয়ে ভাসমান রোহিঙ্গা নুর ফাতেমাকে (১৫) গ্রেপ্তার করা হয়।
জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে, লোভের বশবর্তী হয়ে উভয়ে পরস্পরের যোগসাজশে তাহমিনা আক্তারকে অপহরণ করে পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের ফন্দি আঁটে। পরে শিশুটি চিৎকার–চেঁচামেচি করলে দুজনে মিলে তার গলায় রশি এবং ওড়না পেছিয়ে ফাঁস দেয়। পরবর্তীতে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। তাদের দেয়া তথ্য মতে ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রশি, ওড়না, বালিশ এবং একটি দেশীয় অস্ত্র দা জব্দ করা হয়। আদালতে তারা জবানবন্দিও দেয়।