মীরসরাই ইকোনমিক জোনে অধিক জাপানি বিনিয়োগের প্রত্যাশা

দুই দেশের বন্ধুত্বের সুবর্ণজয়ন্তীতে ওয়েবিনারে তথ্যমন্ত্রী

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৬:১৫ পূর্বাহ্ণ

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, স্বাধীনতা পরবর্তীতে বাংলাদেশকে প্রথমেই স্বীকৃতি প্রদানকারী দেশসমুহের মধ্যে জাপান অন্যতম। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে জাপান সফর করেন এবং সীমিত সম্পদ, জনসংখ্যার ঘনত্ব এবং অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা থাকা বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানকে মডেল হিসেবে গ্রহণ করেন। উভয়দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে জাপান এককভাবে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ অবদান রেখে এসেছে। জাপান-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের প্রত্যাশা শীর্ষক এক ওয়েবিনার গতকাল বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেটরো), ঢাকা এবং জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (জেবিসিসিআই) ওয়েবিনারটি আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালে জাপান সফরকালে উভয়দেশের মাঝে কম্প্রিহেন্সিভ পার্টনারশিপ স্বাক্ষর করেন এবং সময়ের সাথে সাথে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ও সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হয়েছে। ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তরিত হওয়ার ক্ষেত্রে জাপান এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী দেশের অবদান অপরিসীম। তিনি বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এবং চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে ইকোনমিক জোনে অধিক পরিমাণে জাপানি বিনিয়োগের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু জাপান সফরের পর ১৯৭৪ সালে জাপানের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করেন এবং যমুনা ব্রিজ, চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ও ঘোড়াশাল সার কারখানা স্থাপনে সহায়তা করে। চিটাগাং চেম্বার, জাপান চেম্বার এবং জেটরো দুই দেশের ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বের উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করে চলেছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় সফর এবং সুসম্পর্ক অব্যাহত রাখার যে ঘোষণা তা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে আরো ত্বরান্বিত করবে বলে মতামত ব্যক্ত করেন।
বক্তব্য দেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ ও টোকিওতে অবস্থিত জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (জেবিসিসিইসি) চেয়ারম্যান তেরু আসাদা সিবিই।
চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, আমাদের কম্প্রিহেন্সিভ পার্টনারশিপকে কাজে লাগিয়ে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার নতুন দিক উন্মোচন এবং উভয় দেশের বেসরকারি খাতের মধ্যে সম্পর্কে আরো শক্তিশালী করার এটি উপযুক্ত সময়। আমাদের সম্পর্কের এই সুবর্ণ সময়ে বিনিয়োগের নতুন নতুন ক্ষেত্র আবিষ্কার ও তা সদ্ব্যবহারে বিটুবি কর্ম কাঠামো সৃষ্টির মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে উভয় সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কাজুইও নাকাজো, হিকারী কাওয়াই, আসিফ এ চৌধুরী, তরফদার মো. রুহুল আমিন প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাংলা একাডেমি পুরস্কার গ্রহণ করলেন চট্টগ্রামের তিনজন
পরবর্তী নিবন্ধ২৬ ফেব্রুয়ারির পর বন্ধ হচ্ছে প্রথম ডোজ