মীরসরাই অর্থনৈতিক জোনে স্যাটেলাইট সিটি নির্মাণের পরিকল্পনা

চেম্বারে মতবিনিময়ে কোরিয়ান দূতাবাসের ডিরেক্টর জেনারেল

আজাদী ডেস্ক | বৃহস্পতিবার , ১৪ নভেম্বর, ২০২৪ at ৯:৫৩ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ান দূতাবাসের ডিরেক্টর জেনারেল (ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ) সামসু কিম বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে কোরিয়ায় প্রতি বছর রপ্তানির পরিমাণ ৫% হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট করার ব্যাপারে উভয় দেশ কাজ করছে। বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত হচ্ছে তৈরি পোশাক শিল্প। এই খাতে কোরিয়ান বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য। অটোমোবাইল শিল্প বিশ্বে বৃহৎ শিল্প। ভারতেও অটোমোবাইল শিল্প দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশেরও অটোমোবাইল সাপ্লাই চেইন শিল্প সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে।

গতকাল বুধবার দুপুরে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মীরসরাই ইকোনমিক জোনে ইকোনমিক ইনোভেশন পার্টনারশিপ প্রোগ্রামের (ইআইপিপি) আওতায় স্যাটেলাইট সিটি নির্মাণের পরিকল্পনা তথ্যচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরেন তিনি। ওখানে হাসপাতাল, স্কুল, খেলার মাঠসহ সকল ধরনের সুযোগসুবিধা বিদ্যমান থাকবে। ভবিষ্যতে যা বাংলাদেশের অর্থনীতির ইঞ্জিন হয়ে উঠবে। সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য মীরসরাই স্মার্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনে হাই ভ্যালু ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠবে বলে জানান তিনি। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ও চিটাগাং চেম্বারের প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশার সভাপতিত্বে পিএইচপি মোটরসএর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আকতার পারভেজ, প্রান্তিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম সরোয়ার, পিএনএল হোল্ডিং লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরান খান ও বিএসআরএমের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের ম্যানেজার ইফাত চৌধুরী, কোরিয়া ট্রেড ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন এজেন্সির (কোটরা) চিফ স্পেশালিস্ট ফারুক আহমেদ ও চেম্বারের যুগ্ম সচিব নুরুল আবছার চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।

চেম্বার প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, দেশের কমার্শিয়াল হাব হিসেবে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাক্ষী হয়েছে। তৈরি পোশাক খাত, জাহাজ নির্মাণ, ফার্মাসিউটিক্যালস, আইটিসহ বিভিন্ন খাতের বিকাশে এই অঞ্চল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশ ও বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টিতে চিটাগাং চেম্বার সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। তিনি বলেন, দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাসে এখনই সময়।

অন্যান্য বক্তারা শিপবিল্ডিং, শিপ রিসাইক্লিং খাতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ শ্রমিক নিয়োগসহ বাংলাদেশে একক বা যৌথ উদ্যোগে মোটরসাইকেল এসেম্বলিং প্ল্যান্ট ও অটোমোবাইল লেদার ইন্ডাস্ট্রিতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধডায়াবেটিসের ব্যাপকতা রোধে চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতালের সহযোগিতা
পরবর্তী নিবন্ধমেয়রের সাথে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ