মীরসরাইয়ে রোপা আমনের চারা রোপণ প্রায় শেষ

মীরসরাই প্রতিনিধি | শনিবার , ১৯ আগস্ট, ২০২৩ at ৬:৫৭ পূর্বাহ্ণ

অবশেষে নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে উপজেলার ৭ হাজার কৃষক এখন আমনের চারা রোপণ করে সাজিয়ে তুলেছে সবুজ মাঠ। কৃষিবিভাগ বলছে চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে এবার। আশা করা যাচ্ছে ভালো ফলনও হবে।

আষাঢ় পেরিয়ে অবশেষে শ্রাবণের মাঝামাঝি থেকে বৃষ্টি পেয়ে কৃষকদের মুখে হাসি ফোটে উঠে। অথচ এর আগে রোপা আমনের বীজতলায় কোনোভাবে সেচ দিয়ে চারা বাঁচিয়ে রাখলও বৃষ্টি না হওয়ায় সেই চারা তুলে মাঠে যেতে পারছিল না কেউ। অবশেষে বৃষ্টি নামতে শুরু শুরু করলে কৃষকরা জমিতে হাল দিয়ে, চারা তুলে গত দুই সপ্তাহে প্রায় চারাও লাগিয়ে ফেলে।

আমবাড়িয়া গ্রামের কৃষক নুরুজ্জমান (৫৬) বলেন, দেড় কানি জমির পুরোটাই চারা রোপণ করা শেষ করলাম আজ (শুক্রবার)। খৈয়াছরার কৃষক হামিদুর রহমান বলেন, তিন কানি জমির পুরোটাই রেডি করে চারাও লাগিয়ে ফেলেছি।

প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা কেটে চারা রোপণ করতে পারায় হাসি ফুটে উঠেছে কৃষকদের চোখে মুখে। গত তিন সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন হালকা ভারি বৃষ্টিতে ফসলের মাঠেই দেখা গেছে সব কৃষককে। কেউ বীজতলা থেকে চারা তুলেছে, কেউ জমিতে নাঙ্গলগরু বা মেশিনের নাঙ্গল নিয়ে ব্যস্ত ছিল।

মীরসরাই উপজেলা কৃষি সুপারভাইজার কাজী নুরুল আলম বলেন, এবার উপজেলায় আমনে ১৯ হাজার ৭শ ৭৫ হেক্টর লক্ষমাত্রা। বৃষ্টি শুরু হবার পর থেকে গত তিন সপ্তাহে প্রায় সকল জমি চাষাবাদ হয়ে গেছে। এবারও লক্ষমাত্রা পূরণ ও ভাল ফলনের আশা করা যাচ্ছে। উপজেলায় এবার ৭ হাজার কৃষক আমন চাষ করছে বলে জানান তিনি। মীরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা কাটাতে আমন উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনেক চাষিকে বিনামূল্যে বীজ, রাসায়নিক সার ও আগাছা দমন সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া অনেক কৃষককে কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে কিন্তু প্রাকৃতিক বৈরিতার জন্য উদ্বিগ্ন ছিলাম। এখন আশা করছি লক্ষমাত্রা পূরণ করা সম্ভব প্রাকৃতিক এই আনুকূল্যে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচলন্ত বাসে কলেজ শিক্ষার্থীর মোবাইল ছিনতাই
পরবর্তী নিবন্ধআসছে ইলিশ, জৌলুস ফিরেছে কক্সবাজার ফিশারিঘাটে