মীরসরাইয়ে বোরোর ফলনে চিটা, দুশ্চিন্তায় কৃষক

মীরসরাই প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ৪ মে, ২০২৩ at ৫:৪৫ পূর্বাহ্ণ

মীরসরাইয়ে এবার বোরো চাষে ধানে চিটার পরিমাণ বেশি হওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা। কৃষি বিভাগ বলছে এবার ধানের ব্রি২৮ জাতটি ভাল না পড়ায় এমনটা হয়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গেলে পূর্বকাটাছরা এলাকার কৃষক আবুল হোসেন (৫২) জানান, এবার খরচ উঠবে কিনা সন্দেহ আছে। ধানের শীষে অর্ধেকের কম ধান দেখা যাচ্ছে। বাকিটুকু চিটা। এবার ধানে রোগবালাই আর পোকামাকড় বেশি ছিল। এমন পোকা ছিল যেগুলো কোনো প্রকার ঔষধেও যায়নি। একইভাবে পূর্ব খৈয়াছরা গ্রামের কৃষক হানিফ মিয়া (৪৮) বলেন, এবার ঘরে ধান তুলে মাড়াই করে খড়ের দাম ছাড়া ধানের ভাল দাম কতটা পাব বুঝতে পারছি না। কারণ সবাই বলছে এবার চিটা ধানই বেশি।

এই বিষয়ে মীরসরাই উপজেলা কৃষি সুপারভাইজার কাজী নুরুল আলম বলেন, এবার রোপা ধানের বীজের ব্রি২৮ জাতটি ভাল পড়েনি, তাছাড়া এই মৌসুমে অতিরিক্ত তাপমাত্রায় ধানের বেশ ক্ষতিসাধন হচ্ছে। আমরা এই জাতের ধান রোপন করতে কৃষকদের বারণ করবো। তবে এবার ১৮০০ হেক্টর বোরো আবাদ হয়েছে উপজেলায়। দাম এখনো ভাল থাকায় কৃষকরা লাভে থাকবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এদিকে ফসলের মাঠে একই সঙ্গে ধান পাকতে শুরু করায় শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানান অনেক কৃষক। ইতোমধ্যে ৫০ শতাংশ জমির ধান পেকে ঘরে তোলার উপযোগী হয়ে গেছে। শ্রমিক সংকট এখন থেকেই দেখা যাচ্ছে। গত সোমবার কাটাছরা এলাকায় ত্রিপুরা আদিবাসী মেয়েদেরও ধান কাটতে দেখা গেছে। আবার ওরাই সেই ধান কৃষকের ঘরে তুলে দিয়ে আসছে। অনেক কৃষক তালবাড়িয়া আদিবাসী গ্রাম থেকে সিএনজি ভাড়া করে ওদের নিয়ে যাচ্ছে শ্রমিক মজুরি খাওয়া দাওয়াসহ। ওদের আবার বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে বিকেলে। কৃষক আনোয়ার মিয়া বলেন, শ্রমিক না পাওয়ায় উপজাতীদেরও বেশি দামে এনে কাজ করাতে হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএসএসসির ইংরেজি প্রথম পত্রে বহিষ্কার ৩
পরবর্তী নিবন্ধএকসঙ্গে কেনা হচ্ছে চার কার্গো এলএনজি