মীরসরাইয়ে বিএসআরএম স্টিল মিলে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬

মীরসরাই প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ৫ আগস্ট, ২০২৫ at ৭:০৭ পূর্বাহ্ণ

মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ সোনাপাহাড়স্থ বিএসআরএম স্টিল মিলে ডাকাত দলের হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের মামলার প্রধান আসামিসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব৭। গত রবিবার রাতে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে হামলা ও ভাঙচুরের পর বিএসআরএম কারখানার ম্যানেজার মো. দেলোয়ার হোসেন মোল্লা বাদী হয়ে জোরারগঞ্জ থানায় ৩২জন এজাহারনামীয় ও ১৫২০ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর র‌্যাব ৭ এর টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৩ আগস্ট রাতে নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন কাজির দেউরি এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের খিলমুরারী গ্রামের মো. আলমের ছেলে তাজুল ইসলাম (২৭) কে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন স্থানে আরও দুটি অভিযানে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন মীরসরাই উপজেলার পরাগলপুর গ্রামের বশির আহম্মদের ছেলে মো. ইমন (২৬), নিজাম উদ্দিনের ছেলে মো. সাদেক হোসেন (৩০), আলাউদ্দিনের ছেলে মো. হাসান (২২), রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে নুর উদ্দিন (২২) ও চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার সেংগুয়া গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে মো. মাহবুব (২৬)

মামলার এজাহার ও র‌্যাব৭ সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে স্থানীয় সন্ত্রাসী হক সাবের নেতৃত্বে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, কিরিচ, চাপাতি, রামদা ও লোহার রড সজ্জিত ১৮২০ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল বিএসআরএম স্টিল রোলিং২ এবং স্টিল মেলটিং২ কারখানায় হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা কারখানার অফিস কক্ষ ভাঙচুর, লুটপাট চালায় এবং ডিউটি অফিসার মো. শাহ আলম, সিকিউরিটি গার্ড মোরশেদ, ডাম্প ট্রাক চালক সোহাগসহ শ্রমিকদের ওপর নির্মম হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বিপুল পরিমাণ লোহা তৈরির স্ক্র্যাপ, নির্মাণাধীন বেষ্টনীর টিন ও নগদ টাকা লুট করে নেয়। এছাড়া বেষ্টনী নির্মাণ অব্যাহত রাখলে শ্রমিকদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।

র‌্যাব৭ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ও পরিচালক (মিডিয়া) . আর. এম. মোজাফ্‌ফর হোসেন জানান, গ্রেপ্তাকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রোববার রাতেই জোরারগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ।

মামলার বাদী দেলোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ চক্রটি বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। আমরা মামলা করেছি। সকল আসামিকে গ্রেপ্তার করলে শুধু বিএসআরএম এলাকা নয় পুরো খিলমুরারী ও সোনাপাহাড়বাসী ত্রাসের রাজত্ব থেকে মুক্তি পাবে।

এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল হালিম বলেন, আসামিদের সুনির্দিষ্ট মামলায় পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সোমবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা সংক্রান্ত্র আরো তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ২৩ আগস্ট ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধনাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণ, নারীর পা বিচ্ছিন্ন