মীরসরাইয়ে কয়েক দিনের টানা বর্ষণ এবং গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। উপজেলা স্বাস্ব্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার বিকাল পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৫ জন ডায়রিয়া রোগী এবং জ্বর নিয়ে আরো ৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। এছাড়া গত ৫ দিনে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে ভর্তি হয়েছেন শিশুসহ ২৫ জন জন। আক্রান্তদের অনেকের শরীরে মিলছে কলেরার জীবাণুও। এছাড়া গত ১ মাসে তিনজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। সর্বশেষ গতকাল জ্বর নিয়ে ভর্তি হওয়া ৪ জনের মধ্যে ডেঙ্গু রয়েছে কিনা পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে।
হাসপাতালের দায়িত্বরত সেবিকা জুলফি আরা বলেন, ইতিমধ্যে কয়েকজন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বর্তমানে ও চিকিৎসা নিচ্ছেন কয়েকজন। এদিকে হঠাৎ করে ডেঙ্গু ও ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় অনেকটা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে উপজেলার মোমিনটোলা এলাকার মো. শাহজাহান (৭০), পূর্ব রায়পুর এলাকার মো. এবাদুল্লাহ (৫২), পূর্ব খৈয়াছরা এলাকার মানিক নাথ (৬২) সহ পুরুষ ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরো অনেকে। এছাড়া শিশু ওয়ার্ডে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে আরো ৫ শিশু।
হাজীশ্বরাই গ্রাম থেকে আসা দুই বছর বয়সী ভাগ্যশ্রী বৈদ্য নামে রোগীর মা মিতু বৈদ্য বলেন, গত তিন দিন ধরে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছে তাঁর কন্যা শিশু। কিছুটা উন্নতি হলেও বন্ধ হয়নি ডায়রিয়া।
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী আনসার উদ্দিন (২৩) এর স্বজনরা জানান, চট্টগ্রাম থেকে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসলে ঈদের দিন থেকে জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে পরীক্ষা নিরীক্ষায় তার ডেঙ্গু সনাক্ত হয়। এখন চিকিৎসায় অনেকটা ভালোর দিকে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. নাছির উদ্দিন বলেন, টঙিন ও ভাইরাস জনিত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। সুস্থ হতে ৫ থেকে ৭ দিন সময় লাগছে। তবে দুঃশ্চিন্তার কারণ নেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মিনহাজ উদ্দিন বলেন, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শিশুসহ সব বয়সী রয়েছে। অতিরিক্ত গরমে যেখানে–সেখানে জুস, পানি এবং খাবার খাওয়ার কারণে এ রোগে আক্রান্ত বাড়ছে। যে কোনও কিছু খাওয়ার আগে এবং টয়লেটের পরে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। এছাড়া ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে দুজন রোগী সুস্থ হয়েছেন একজনের চিকিৎসা চলছে।











