মীরসরাইয়ে চা চাষে আছে সম্ভাবনা, নেই উদ্যোগ

মীরসরাই প্রতিনিধি | রবিবার , ২৯ মে, ২০২২ at ৭:৫৯ পূর্বাহ্ণ

মীরসরাই উপজেলার বনভূমির ১০ হাজার একর জমি চা চাষের উপযোগী। তবে মাটি ও প্রাকৃতিক গুণাবলী থাকলেও নেই কোনো উদ্যোগ। তাই চা বোর্ডের ঘোষণা ও উদ্যোক্তাদের সৎ ইচ্ছাই পারে এ অঞ্চলে চা শিল্পের নতুন যাত্রা শুরু করতে। অবশ্য চা বোর্ড বলছে আগ্রহী উদ্যোক্তারা এগিয়ে এলে চা বোর্ড সকাল প্রকার সহযোগীতা করবে।
সম্প্রতি মীরসরাইয়ে অনেকে সামাজিক বনায়নে এগিয়ে আসছেন। আবার অনেকেই পিছু হটছেন নানা প্রতিকূলতায়। কিন্তু চায়ের ক্ষেত্রে নেই কোনো প্রতিকূলতা। মীরসরাই উপজেলা অঞ্চলের চা চাষের সম্ভাব্যতা বিষয়ে সিলেটের চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মৃত্তিকা বিজ্ঞানী শেফালী ব্যানার্জি বলেন, চট্টগ্রামের মীরসরাই অঞ্চল চা চাষের জন্য যথেষ্ট উপযোগী। আর চট্টগ্রাম চা বোর্ডে এসব অঞ্চলে চা চাষ বৃদ্ধিতে উদ্যোগ নেয়ার প্রস্তাবনাও দেয়া আছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় চা বোর্ডের উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা) মনির আহমেদ বলেন, মীরসরাই-সীতাকুণ্ডের পাহাড়ি অঞ্চলগুলো চা চাষের উপযোগী। এখানকার মাটি ও পরিবেশ অনুকূল। তবে বিভিন্ন পর্যায়ের বিনিয়োগকারী উদ্যোক্তা এগিয়ে এলে আমরা সকল সহযোগীতা দেবো। শুধু তাই নয় উদ্যোক্তাগণের জন্য ব্যাংক লোন দেয়া, বন অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন পর্যায়ে কার্যক্রমেও সহযোগিতা করবো।
এ বিষয়ে মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান বলেন, এই অঞ্চলে চা চাষ হলে অবশ্যই দেশের জন্য তা সুফল বয়ে আনবে। চা বোর্ড সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে আমরা সকল পর্যায়ে সহযোগীতা প্রদান করবো।
মীরসরাই উপজেলার করেরহাটস্থ চট্টগ্রাম উত্তর বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক আবু বাকার বলেন, সরকার উদ্যোগ নিলে আমরা সম্ভাব্য জরিপ কার্যক্রমেও সহায়তা করতে পারি। বাকিটুকু চা গবেষণা বিভাগ ও চা বোর্ডের উদ্যোগের বিষয়।
মীরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রঘুনাথ নাহা জানান, মীরসরাইয়ের পাহাড়ি এলাকায় ব্যাপক চায়ের আবাদ সম্ভব। সরকার উদ্যোগ নিলে উদ্যোক্তাদের জন্য চাষাবাদ ও সকল পর্যায়ে কৃষি অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগীতার আশ্বাসও দেন তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচলন্ত বাস থেকে নামতে গিয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধনিজেকে মজনু বললেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী