মীরসরাইয়ে নুসরাত আলম মিলি (২৩) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে মীরসরাই থানা পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার উপজেলার হাইতকান্দি ইউনিয়নের উত্তর হাইতকান্দি গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের বাড়ি থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়। মিলি উত্তর হাইতকান্দি গ্রামের মোশারফ হোসেনের স্ত্রী। স্বামীর পরিবারের পক্ষ থেকে মিলি আত্মহত্যা করেছে বলা হলেও তার বড় ভাই আমজাদ আলীর দাবি, তার বোনকে স্বামী ও শাশুড়ি নির্যাতন করে মেরে ফেলেছেন। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিলির স্বামী মোশারফ হোসেন ও শাশুড়ি আম্বিয়া খাতুনকে আটক করেছে।
জানা গেছে, মীরসরাই সদর ইউনিয়নের গড়িয়াইশ গ্রামের মৃত খোরশেদ আলমের মেয়ে মিলির সঙ্গে একই উপজেলার হাইতকান্দি ইউনিয়নের উত্তর হাইতকান্দি গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মোশারফের প্রায় দুই বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের পরিবারে ৪ মাস বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। মিলির পরিবার জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে মিলির স্বামী মোশারফ আমজাদকে মোবাইল ফোনে জানায়, তার বোন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে আমজাদ মীরসরাই থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
মিলির মা জোস্নেয়ারা বেগম জানান, মেয়ের বিয়ের সময় মোশারফকে নগদ দেড় লাখ টাকা দেওয়া হয়। বিয়ের পর কয়েক দফায় আরও প্রায় এক লাখ টাকা দেন। সম্প্রতি আবার বাবার বাড়ি থেকে ২০ হাজার টাকা এনে দিতে মোশারফ মিলিকে চাপ দিতে থাকে। ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মিলি তাকে (জোস্নেয়ারা) ফোন করে স্বামী ও শাশুড়ির গালমন্দ ও মারধরের কথা জানায়। কখন টাকা দিতে পারবে তারা জানতে চায়। তখন মেয়েকে তিনি আসন্ন ঈদ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলে ফোন কেটে দেন। এর দুই ঘণ্টা পর খবর আসে মিলি মারা গেছে।
মীরসরাই থানার ওসি কবির হোসেন জানান, নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে গলার নিচে দড়ির চিহ্ন রয়েছে। অপমৃত্যুর মামলা করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
