মীরসরাই পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাকের ইসলাম রাজুর বিরুদ্ধে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত যুবকের নাম মো. আজিম হোসেন শাহাদাত (২০)। গত শুক্রবার রাতে পৌরসভার হোপ মা ও শিশু হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে মীরসরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নিহত শাহাদাত ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া উপজেলার পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়নের হাসানগনিপুর এলাকার আব্দুল বাতেনের পুত্র। গতকাল শনিবার বিকেলে ফেনী সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ গ্রামের বাড়িতে নেয়া হয়।
নিহত আজিমের পিতা আব্দুল বাতেন জানান, শুক্রবার বিকাল ৪টায় তার পুত্র আজিমকে কাউন্সিলর রাজুর লোকজন বাসা থেকে তুলে নিয়ে হোপ মা ও শিশু হাসপাতালের ৫ম তলায় নিয়ে যায়। রাতে খবর পেয়ে তিনি সেখানে যান। হাসপাতালের একটি কক্ষে মোটা লাঠি দিয়ে রাজু ও তার সহযোগীরা আজিমকে মারধর করছিল। এ সময় বাঁধা দিলে আজিমের পিতাকেও মারধর করা হয়।
আব্দুল বাতেন বলেন, রাজু তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আমার ছেলের মুখের উপর জোরে আঘাত করে। এতে তার সামনের দুটি দাঁত পড়ে যায়। তার মুখ থেকে রক্ত ঝরতে থাকে। এরপর আমাকে ডেকে ছেলেকে নিয়ে দ্রুত চলে যেতে বলে। আমি ছেলেকে নিয়ে ফেনী যাওয়ার পথে সে মারা যায়। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।
খবর নিয়ে জানা গেছে, কয়েকদিন পূর্বে বারইয়ারহাট পৌর মাইক্রো স্ট্যান্ডে একটি মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় বিচার করার নামে আজিমকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জানা গেছে, নিহত আজিমের মা দেড় বছর কাউন্সিলর রাজুর বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করেছেন। বাবা আব্দুল বাতেন একটি বেকারিতে কাজ করেন। আজিম মীরসরাই কলেজ রোডে অবস্থিত একটি ফার্নিচারের দোকানে কাজ করতেন।
এদিকে এ ঘটনায় পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাকের ইসলাম রাজুর বক্তব্য নিতে তার মোবাইলে বারবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। মীরসরাই থানা অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হাসপাতালের একটি শয়ন কক্ষ থেকে রক্তাক্ত তোষক জব্দ করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
