মীরসরাইয়ে ৬ মাসে নিহত ২০, বাড়ছে বাইক দুর্ঘটনা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক

মাহবুব পলাশ, মীরসরাই | রবিবার , ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ at ৭:৫৫ পূর্বাহ্ণ

ঢাকাচট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে দুর্ঘটনার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৬ মাসে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন, আহত প্রায় শতাধিক। মহাসড়কের চট্টগ্রামের সিটি গেট থেকে মীরসরাই উপজেলার বারয়াহাট পর্যন্ত অংশে নিহতদের মধ্যে মোটরসাইকেল আরোহীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতা কমায় বেড়েছে টেক্সি সহ ত্রিচক্র যানের দৌরাত্ব। মহাসড়কে চলাচলে এমন ঝুঁকি বৃদ্ধিতে জনজীবনে উদ্বেগ বাড়ছে।

জানা যায়, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকাচট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাই উপজেলার নিজামপুর এলাকায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকের সাথে ধাক্কা দিয়ে উল্টে পড়া ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে মো. আক্তার হোসেন (৪৫) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এন আগে ৪ ফেব্রুয়ারি মহাসড়কের শীতলপুর চৌধুরীঘাটা এলাকায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কেডিএস গ্রুপের একটি পণ্যবাহী গাড়ির নিচে ঢুকে পড়ে। এতে চাকার নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় চানমিয়া (৫৫) নামে একজনের। একইদিন অপর এক দুর্ঘটনায় আরো ২ জনের মৃত্যু হয়। গত ১৭ জানুয়ারি মহাসড়কের মীরসরাই সদর সংলগ্ন এলাকায় দ্রুতগামী বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী ৩ বন্ধুর প্রাণ গিয়েছে। নিহতরা হলেন মীরসরাইয়ের মায়ানী বড়ুয়াপাড়া এলাকার রুবেল বড়ুয়া (৪০), নিপু বড়ুয়া (৪৩) ও সানি বড়ুয়া (৩৭)। গত ৯ জানুয়ারি মহাসড়কে ট্রাকচাপায় প্রিয় শখের বাইকেই প্রাণ গেল মীরসরাইয়ের কলেজ ছাত্র নাঈমুলের। এভাবে গত ৬ মাসে অন্তত ২০ জন নিহত ও শতাধিক আহত হওয়ার তথ্য জানা গেছে।

মহাসড়কের বিভিন্ন দুর্ঘটনায় উদ্ধারকারী এক ফায়ার সার্ভিস কর্মী জানান, মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে কিছু স্থানীয় ও বহিরাগত বাইকারকে দেখা যায় অত্যন্ত বেপরোয়া গতিতে চলাচল করতে। হাটবাজার এলাকাসহ বিভিন্ন উপসড়কগুলো থেকে মহাসড়কে উঠতে গিয়ে অনেক সময় অন্য গাড়ির সাথে লেগে দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে।

কুমিরা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সম্প্রতি কিছু বেপরোয়া বাইকারের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে একটু ব্যত্তয় ঘটছে। তবে এখন থেকে আইন প্রয়োগের নির্দেশনা রয়েছে, তাই আমরাও কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছি। তবে এ বিষয়ে সকলের সচেতনতা বৃদ্ধির উপরও গুরুত্ব দেন তিনি।

এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা প্রায়ই বাইকারদের হেলমেট থাকা, গতি সীমিত রাখার বিষয়ে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। এরপরও নিজেরা সচেতন না হলে দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানি রোধ সম্ভব নয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরামুতে কারের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে টমটম চালকের মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধকর্ণফুলীতে ফিশিং জাহাজ থেকে ৩৭৮ কেজি জাটকা জব্দ