ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাই সদর সংলগ্ন বিসিক এলাকায় বেপরোয়া গতির লরির ধাক্কায় পথচারী তিন শ্রমিক মর্মান্তিকভাবে নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওয়ার্লেস বিসিক এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় কলমপতি ইউনিয়নের বড়ইছড়িতে নির্মাণাধীন একটি কালভার্টের মধ্যে পড়ে এক সিএনজি টেঙি চালকের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম অংসাজাই মারমা (২৪)।
মীরসরাইয়ে দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, পাবনা জেলার সুজানগর থানার সৌখেতু পাড়ার আবুল কালামের ছেলে মো. আলমগীর হোসেন (৪৫), একই থানার রায়পুর এলাকার মালেক বেপারির ছেলে মো. শফিকুল ইসলাম (৪২) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার আন্দিদিল এলাকার হুমায়ন কবিরের ছেলে মাসুদ মিয়া (৩৫)। তারা সবাই কর্ণফুলী গ্যাস লাইনের কাজে কর্মরত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে কাজে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামমুখী একটি বেপরোয়া গতির লরি চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত হন। গুরুতর আহত একজন মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে মারা যান। দুর্ঘটনায় আরো এক শ্রমিককে মুমূর্ষু অবস্থায় চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ইনচার্জ সোহেল সরকার বলেন, নিহতদের মরদেহ থানায় রাখা হয়েছে। লরিটি আটক করে থানায় নিয়ে আসা হলেও চালক পালিয়ে গেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা রুজু হয়েছে।
জানা যায়, রাঙামাটিতে নিহত সিএনজি টেঙি চালক অংসাজাই মারমা উপজেলার কোলাপাড়ার থুইচামৌ মারমার ছেলে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আর দুইজন। আহতরা হলেন– একই এলাকার পাইমুচিং মারমা ও লাছিথুই মারমা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের বড়ইছড়ি এলাকায় চৌধুরীপাড়া চীবর দানোৎসব থেকে সিএনজি টেঙি যোগে কয়েকজন যাত্রী কুলাপাড়া যাচ্ছিলেন। এসময় একটি নির্মাণাধীন কালভার্টের মধ্যে পড়ে যায় চলন্ত টেঙিটি, ঘটনাস্থলেই মারা যান চালক। আহত দুজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার কাউখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে ভর্তি করিয়েছেন।
কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পারভেজ আলী বলেন, চীবর দান উৎসব থেকে ফেরার পথে ভোর সাড়ে তিনটার দিকে এই কালভার্টে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে সিএনজি চালক ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন।