ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে মীরসরাই উপজেলায় গতকাল শুক্রবার দিনভর হালকা ঝড়ো হাওয়া, বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল। কোথাও বড়ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলে ও উপজেলার সর্বত্র মাঠে পেকে যাওয়া আমন ধান মাঠে ভেঙে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মৌসুমি সবজির চারা।
আমবাড়িয়া গ্রামের কৃষক শরিফুল আলম (৪৫) বলেন, পনের দিন আগে রোপন করা ফুলকপি ও বাধা কপির চারাগুলো পানি জমে ডুবে গেছে। এতে অনেক চারা মরে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার মরিচ, টমেটো আর লালশাকের ক্ষেতেও একই অবস্থা। সোনাপাহাড় গ্রামের চাষি নুরুল ইসলাম (৩৮) বলেন, শিমের চারাগুলো উঠে গেছে, তবে অন্যান্য মৌসুমি সবজিগুলোর কী অবস্থা হয় দুশ্চিন্তায় আছি।
কৃষকরা মাঠে পাকা আমনের বিষয়ে বলেন, ইতোমধ্যে পাকা আমন ধানগুলোর প্রায়ই শুয়ে গেছে। এতে চিটা হয়ে ফলন কমে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃষ্টি বন্ধ হয়ে মাঠ শুকিয়ে গেলে তেমন ক্ষতি হবে না।
মীরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, আমরা আমন ধান ও মৌসুমী সবজি চাষিদের চলমান এই বৈরী আবহাওয়া কাটিয়ে উঠতে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে চলেছি। সকল সুপারভাইজারদের এই বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে
উপজেলা কৃষি সুপারভাইজার কাজী নুরুল আলম বলেন, উপজেলায় এবার ১০৫০ হেক্টর জমিতে মৌসুমী সবজি চাষ হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অন্তত ১০ হেক্টর জমির ফলন বেশি ক্ষতি পারে। তবে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে আবারো দ্রুত চারা রোপন করার সময় রয়েছে, এতে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন।












