মীরসরাইয়ে ধীরে ধীরে বাড়ছে ইরি আবাদ। পূর্বের তুলনায় ১ হাজার হেক্টর ইরি আবাদ বেড়েছে গত পাঁচ বছরে। বিশেষ করে মহামায়ার সুফল পাচ্ছে মধ্যমাঞ্চলের কৃষকরা। মীরসরাই উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় ১৮০০ হেক্টর ইরি আবাদ হয়েছে। এবার আরো দুইশ হেক্টর বেড়ে ২ হাজারের লক্ষ্যমাত্রা ইরির।
মীরসরাই কৃষি অফিস সূত্রে আরো জানা গেছে, অনেক স্থানে স্কিম প্রকল্প বন্ধ হয়ে গিয়েছিল নানা কারণে। ইরি আবাদ বাড়ানোর লক্ষ্যে সেসব আবার চালু করা হয়েছে। ২০১০ সালে উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নে মহামায়া ছড়ার উপর বাঁধ দিয়ে রাবার ড্যাম নির্মাণ করে সরকার। ফলে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি আটকিয়ে তা শুষ্ক মৌসুমে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে করে কৃষকরা ইরি ও বোরো আবাদসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করতে আগ্রহী হচ্ছেন বলে জানান তারা।
দূর্গাপুর ইউনিয়নের চাষি নুরুল মোস্তফা জানান, মহামায়া সেচ প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে আমরা একদিকে পাহাড়ি ঢল থেকে রক্ষা পাচ্ছি। অন্যদিকে ইরি ও বোরো আবাদ করতে পানির সংকটে পড়তে হচ্ছে না। চলতি বছরে দূর্গাপুর ইউনিয়নের প্রায় ৩০০ হেক্টর জমিতে ইরি আবাদ প্রক্রিয়া চলমান বলে বলে তিনি জানান।
মীরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, মীরসরাই উপজেলায় ধীরে ধীরে ইরি ও বোরো আবাদ বাড়ছে। ইরি ও বোরো চাষের জন্য পানির বেশি প্রয়োজন হয়। মহামায়া ও মুহুরী সেচ প্রকল্প থাকায় কৃষকরা পানি সংকট পূরণ করতে পাচ্ছে। এছাড়া আমনের মূল্য ভালো পাওয়ায় কৃষকরা ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছে। আগামীতে ইরি ও বোরো আবাদ আরো বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।