মীরসরাইয়ে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার জোরারগঞ্জ বাজারে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সামনে এ সংঘর্ষ হয়।
আহতরা হলেন সাবেক ছাত্রশিবির নেতা ও আরশীনগরের পরিচালক জামাল উদ্দিন (৩৯), ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মাসুক আলম সোহান (৪৮), যু্বদল কর্মী মো. মামুন (৩৫), জামায়াত কর্মী আলাউদ্দিন (৩৬)। এদের মধ্যে গুরুতর আহত হওয়ায় জামাল উদ্দিনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জোরারগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বিজ্ঞানাগার নির্মাণের বালু সাপ্লাই নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের মাঝে সকালে কথা কাটাকাটি হয়। পরে ২ গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে জোরারগঞ্জ বাজারের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে মারামারি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ বিষয় বিজ্ঞানাগার নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব আলম বলেন, নির্মাণ কাজের বালু ভরাটের কাজ কোন গ্রুপের লোকদের দেওয়া হয়নি। স্যাম্পলের জন্য বালু নিয়ে আসলে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
আহত জামাল উদ্দিন জানান, বালু ভরাটের বৈধ অনুমোদন ও অনুমতি পাবার পর বালু সরবরাহ করতে গেলে প্রতিপক্ষ তাদের সেখানে বাধা প্রদান করে। আবার ইউনিয়ন বিএনপি সদস্য সচিব মাসুকুল আলম সোহান জানান, বালু ভরাটের কাজ তাদের লাইসেন্স জোরারগঞ্চ এন্টারপ্রাইজকে দেওয়া হয়েছে। জামায়াতের নেতাকর্মীরা বালু ভরাটের সময় বাধা সৃষ্টি করে। দুইপক্ষই পরস্পরকে দায়ী করার বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাঈন উদ্দিন জানান, এটি ব্যবসায়ীক ঘটনা। হামলার বিষয়ে নিন্দা জানাই। বিএনপির নেতাদের সাথে বসে সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জোরারগঞ্জ থানা জামায়াতের আমীর নুরুল হুদা হামিদী বলেন, নির্মাণকাজের বালু সরবরাহের দায়িত্ব পায় জেএস এন্টারপ্রাইজ। কিন্তু বালু পাঠানোর পর বিএনপির লোকজন আটকে দেয় এবং নেতা–কর্মীদের উপর হামলা করে। এতে জামাল, আলী ও আলাউদ্দিনসহ কয়েকজন আহক হয়। বিষয়টি নিয়ে আমরা বিএনপির সাথে বসবো।
জোরারগঞ্জ থানার ওসি এটিএম শিফাতুল মাজদার বলেন, জোরারগঞ্জ টেঙটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সামনে রাজনৈতিক ২ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের কথা জেনে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।