মীরসরাইয়ে বাণিজ্য মেলায় বিএনপি-যুবদল নেতাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় জাহেদ হোসেন মুন্না (২০) নামের যুবদলের এক কর্মী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ৫ জন। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মীরসরাই পৌর সদরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মুন্না মীরসরাই পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের গোভনীয়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। আহতদের মধ্যে শাকিল নামের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যার পরে মীরসরাই স্টেডিয়ামে বাণিজ্য মেলায় মীরসরাই পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব জাহিদ হুসাইনের অনুসারীদের সাথে মীরসরাই পৌরসভা যুবদলের আহবায়ক কামরুল হাসানের অনুসারীদের কথা-কাটাকাটি হয়।
পরে জাহিদ হুসাইনের অনুসারীদের হামলায় আহত হয় কামরুল হাসানের এক কর্মী। পরবর্তীতে মেলা থেকে বের হয়ে রাত ১০ টার দিকে কামরুলের অনুসারীরা জাহিদ হুসাইনের বাড়িতে এবং তার অনুসারীদের উপর হামলা চালায়।
এই ঘটনার বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তন্ময় জামশেদ আলম বলেন, মুন্না নামের একজনকে নিহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। শাকিল নামের একজন গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে৷ বাকি রাহাত, হ্রদয় ও রাশেদকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মীরসরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এই ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। মেলা নিয়ে আমাদের কোন কনসার্ন নেই সমর্থনও ছিলো না। প্রশাসন কিভাবে মেলার অনুমতি দিয়েছে সেটা উনারা ভালো জানে। এই যে লাশ এই বিষযটি উনারা কোনভাবেই এড়িয়ে যেতে পারে না।
এ বিষয়ে জানতে মীরসরাই পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব জাহেদ হোসেনকে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
মীরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল, গতকালকে কথাকাটাকাটি জেরে এক যুবক নিহত হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত হলেও, সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।