মীরসরাইয়ে পানিবন্দি হাজারো পরিবার

মীরসরাই প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ৪ জুলাই, ২০২৪ at ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ

টানা পাঁচদিনের ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছে সহস্রাধিক পরিবার। কাজ না থাকায় কষ্টে রয়েছেন দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষ। পাহাড়ি ঢলের স্রোতে ভেঙে গেছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গ্রামীণ সড়ক।

এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে খাল সংস্কার না থাকায় ও অপরিকল্পিতভাবে স্থাপনা নির্মাণের কারণে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। নিমজ্জিত রয়েছে রোপা আমন ও সবজি ক্ষেত। উপজেলার কিছু এলাকায় দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন পানিবন্দি মানুষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টানা পাঁচ দিনের বৃষ্টিতে উপজেলার করেরহাট, হিঙ্গুলী, বারইয়ারহাট পৌরসভা, মীরসরাই পৌরসভার নিম্নাঞ্চল, জোরারগঞ্জ, কাটাছরা, দুর্গাপুর, মিঠানালা, মীরসরাই সদর, খৈয়াছড়া, ওসমানপুর, সরকারতালুক, খিলমুরারী ও ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে ঢাকাচট্টগ্রাম মহাসড়ক ও বারইয়ারহাটরামগড় সড়কের বিভিন্ন স্থানে। এতে অনেকটা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে জনবহুল বড়দারোগাহাটবগাচতর সড়ক ও জোরারগঞ্জমুহুরী প্রজেক্ট সড়ক। পানিবন্দি হয়ে আছে ফেনাফুনী, ওসমানপুরের মরগাং, চিনকী আস্তানা ও খিলমুরালী গ্রামের সহস্রাধিক পরিবার।

খৈয়াছড়া ইউনিয়নের ফেনাফুনী গ্রামে পানিবন্দি রয়েছে অনেক পরিবার। কোমর পরিমাণ পানি হওয়ায় মানুষের চলাচলে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দা আবু তাহের জানান, ফেনাফুনী খালটি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। টানা বৃষ্টি হলে ভোগান্তির শেষ থাকে না। কোমর পরিমাণ পানির কারণে চলাচলে অনেক কষ্ট হচ্ছে। অনেকের চুলায় পানি ওঠায় রান্নাবান্নাও হয়নি।

উপজেলার টেকের হাট এলাকার মাছ চাষি মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন, টানা বৃষ্টিতে ইছাখালী ও ওসমানপুর এলাকার অনেক মৎস্য প্রকল্পের মাছ ভেসে গেছে। আমারও দুটি প্রকল্প থেকে প্রায় দুই লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে।

খৈয়াছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক জুনু বলেন, আমার ইউনিয়নের ফেনাফুনী ও সৈদালী গ্রামে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার বিকেলে আমি এলাকগুলো পরিদর্শন করেছি। মূলত মায়ানী ও মঘাদিয়া ইউনিয়নের লোকজন খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের কারণে আমার ইউনিয়নের লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে রোপা আমন ও সবজির কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে বৃষ্টি যদি অব্যাহত থাকে তাহলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনৌকায় চড়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে
পরবর্তী নিবন্ধবাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৩৪ প্রার্থী, আছেন চট্টগ্রামের ফয়সাল