চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি–৩ এর অধীনে মীরসরাই উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের কয়েকটি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা গত রোববার সকাল থেকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৫ দিন ধরে সীতাকুণ্ডের আঞ্চলিক কার্যালয়ে গিয়ে ৩৫টি দাবি নিয়ে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন।
আন্দোলনকারীরা বলেন, দাবি আদায় না হলে এই কর্মবিরতি ও আন্দোলন নিয়মিত চলবে। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) মধ্যকার বৈষম্য দূরীকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সারাদেশে কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে পবিস অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তারই পরিপ্রেক্ষিত গত রোববার সকাল ৯টা থেকে দেশের ৮০টি পবিসের সদর কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রতিটি উপকেন্দ্রে একজন করে জনবল থাকবে। তবে সব ধরনের গ্রাহক সেবা ও অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এতে আরও বলা হয়, দেশের প্রায় ৪ কোটি গ্রাহক এবং ৮০ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ কাজে নিয়োজিত রয়েছে ৮০টি পবিসের প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারী। বিআরইবি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এসব সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারী প্রতিনিয়ত নানান বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন আন্দোলনকারী জানান, এসব বৈষম্যের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ জানানো হলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। সমপ্রতি এ বিষয়ে স্মারকলিপি দেওয়ায় পবিসের ছয়জন সহকারী মহাব্যবস্থাপককে সাময়িক বরখাস্ত করাসহ আইনের দোহাই দিয়ে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বিদ্যমান বৈষম্যগুলো দূর করার জন্য বেতন কাঠামো ও সরকার প্রদত্ত সুযোগ–সুবিধা বিআরইবির সঙ্গে সমানভাবে পরিপালন, সাপ্তাহিক ছুটি একদিনের পরিবর্তে দুইদিন এবং পদন্নোতি ও অন্যান্য সুযোগ–সুবিধার ক্ষেত্রে বিআরইবির সঙ্গে সমন্বয় চান তারা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।