কখনো মেঘ গুড় গুড় আকাশ, কখনো আকাশ ঝেঁপে বৃষ্টি কতো রকম প্রতিকূলতাই সইতে হয় এই ভরা বর্ষা মওসুমে। আবার রোদে শুকিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে আমাদের ক্ষুধার অন্ন এই কৃষকরাই হাসি মুখে তুলে দেন। থেমে নেই এই কৃষকদের অবিরাম পথচলা। আষাঢ়ের শেষের দিকে সকল প্রতিকূলতা কাটিয়ে অনুকূল পরিবেশ ফিরে আসায় মীরসরাইয়ের ফসলের মাঠে এবার বেড়েছে আউশের আবাদ। আবার অনেকে প্রস্তুতি নিচ্ছে এখন আমনের বীজতলার। শ্রাবণের শেষ নাগাদ আউশ উঠে গেলেই শুরু হবে আমন রোপন।
মাঠে এবার আউশের ডগা নড়ছে। সাথে সাথে স্বপ্ন দোল খাচ্ছে কৃষকের। কেউ আউশ ধান গাছের পরিচর্যা। আবার কেউ এখন আমনের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত। উপজেলার খৈয়াছরা ইউনিয়নের আমবাড়িয়া গ্রামের কৃষক ইকবাল কোরাইশী বলেন, এবার বর্ষার শুরুতে পাহাড়ি ঢলের প্রভাব কাটিয়ে মাঠে আউশ ধান অবশেষে অনুকূল পরিবেশ ফিরে পেয়েছে। এবার ফলনও ভাল হতে পারে বলে আশাবাদী সকলে। দুর্গাপুর গ্রামের কৃষক ইলিয়াস হোসেন (৫০) বলেন, আমার ১৬ গণ্ডা আউশ ক্ষেতেই এবার ভালো থোকা আসছে। আশা করছি ফলন ও ভাল হবে। এরমধ্যে আমনের বীজতলা ও রেডি বলে জানান তিনি। আউশ উঠলেই ক্ষেতে লাঙ্গল দিয়ে মাটি মাড়িয়ে আমনের চারা লাগিয়ে দিবেন একই জমিতে এমনটাই বললেন।
মীরসরাই উপজেলা কৃষি সুপারভাইজার কাজী নুরুল আলম বলেন, এবার আউশের আবাদ হয়েছে ৫৫৫০ হেক্টর। গত বছর থেকে এবার ৫০ হেক্টর বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার আমনের লক্ষমাত্রা ও ২০ হাজার হেক্টর। গত বছরের তুলনায় ১০০ হেক্টর বেশি। এবার কৃষকদের মাঝে নানাভাবে ভালো ধান উৎপাদনের সকল প্রস্তুতিই নেয়া হয়েছে। এছাড়া কৃষকদের কিছু প্রতিকূল সময় কিভাবে কাটিয়ে উঠা সম্ভব সকল বিষয়ে সচেতন করার চেষ্টা ও করা হচ্ছে।