মীরপুরে পুলিশের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকদের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘাতের পর মিরপুরের কালশি এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। দীর্ঘ সময় রাস্তাগুলো বন্ধ থাকার পর সন্ধ্যায় চালু হলেও মিরপুরমুখী সবগুলো সড়কে ছিল ব্যাপক যানজট। তবে দিনের বড় অংশজুড়ে গণ্ডগোলের পুরো সময়ে মেট্রোরেল চলাচলে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি বলে জানিয়েছে এমআরটি পুলিশ।
আগামী সোম ও মঙ্গলবারও প্রতিবাদ কর্মসূচি থাকার কথা জানিয়েছেন ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকরা। জাতীয় প্রেস ক্লাব ও সচিবালয় এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন তারা। এদিকে সংঘাতের সময় ছররা গুলিতে আহত এক পথচারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
রাজধানীতে সড়কে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে পুলিশের সাম্প্রতিক অভিযানের বিরুদ্ধে গতকাল রোববার সকালে মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় লাঠিসোঁটা হাতে বিক্ষোভে নামে রিকশাচালক ও ব্যবসায়ীরা। সকাল ১০টা থেকে তারা মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর অবরোধ করে রাখেন। একই সময় কালশীতেও তাদের বিক্ষোভ চলতে থাকে।
দিনভর থেমে থেমে বিক্ষোভের মধ্যে বিকাল ৪টার পর কালশী এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় রিকশাচালকরা। সেখানে ফ্লাইওভারের নিচে ট্রাফিক পুলিশের বক্সটি ভাঙচুর করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ চালকরা।
পুলিশ বক্সের ভেতরে টিভি, এসি, আইপিএসসহ যন্ত্রপাতিগুলো ভেঙে ফেলে তারা। এসময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। তারাও পাল্টায় ঢিল ছুড়তে থাকে। সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের অলি–গলিতেও।
খোরশেদ আলম নামে রিকশাচালকদের একজন নেতা বলেন, রিকশা চলাচলের অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত সামনের দিনগুলোতে দফায় দফায় তাদের কর্মসূচি চলবে। গতকাল মিরপুর ১০ নম্বরে বিক্ষোভ করেছে দুয়ারীপাড়া এলাকার রিকশাচালকেরা। আর কালশীতে ছিলেন কালাপানি এলাকার রিকশাচালক ও সংশ্লিষ্টরা।
মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে জড়ো হওয়ার আগে বিক্ষোভকারীরা মিরপুরের কালশিসহ আরও কয়েকটি সড়কে বিক্ষোভে নামেন।
এদিকে সংঘাতের সময় ছররা গুলিতে আহত এক পথচারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহত সাগর চৌকদার (২৫) দর্জি দোকানের কারিগর।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, আহত সাগর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।