জান্তা শাসিত মিয়ানমারে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য যে কোনও ধরনের শান্তি আলোচনায় দেশটির দণ্ডিত নেত্রী অং সান সু চির উপস্থিত থাকা অপরিহার্য বলে মনে করে ফিলিপিন্স। রবিবার ফিলিপিন্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তিওদোরো লোকসিন একথা বলেন। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চির দল নেতৃত্বাধীন মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। বন্দি করা হয় সু চিকে। খবর বিডিনিউজের। গত সপ্তাহে মিয়ানমারের একটি আদালত সু চিকে অবৈধভাবে ওয়াকিটকি আমদানি এবং ব্যবহারের মামলায় চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। তার আগে গত ডিসেম্বরে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উসকানি দেওয়া এবং করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের অভিযোগে এক মামলায় সু চির চার বছরের কারাদণ্ড হয়। পরে তা কমিয়ে দুই বছর করা হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে বন্দি সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতি, সরকারি গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনসহ ১১টি মামলা হয়েছে। সবগুলোতে দোষী সাব্যস্ত হলে নোবেলজয়ী এ নেতার ১০০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। একের পর এক মামলায় সু চিকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেওয়ার কঠোর সমালোচনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লোকসিন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বিরোধীদের দমনে দেশটির বিচার ব্যবস্থাকে ব্যবহার করেছে।
মিয়ানমারের বেসামরিক মানুষদের দুর্ভোগের বিষয়ে আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমরা একই সঙ্গে সামরিক শাসকদের সবদলকে সঙ্গে নিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সংলাপের আয়োজন করে দেশকে গণতন্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশন্স এর নেতারাও মিয়ানমারে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সামরিক শাসকদের উপর চাপ বাড়াচ্ছে। ২০২১ সালে আসিয়ান নেতারা মিয়ানমারে শান্তি ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সামরিক জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং তাদের সেই প্রতিশ্রুতিকে সম্মান জানাতে ব্যর্থ হলে আসিয়ান নেতাদের সম্মেলন থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়। যার প্রতিক্রিয়ায় জান্তা বাহিনী বলেছে, ‘সন্ত্রাসীরা’ তাদের চেষ্টাকে বিপথগামী করেছে। তাদের উদ্দেশ্য মিয়ানমারকে ধ্বংস করে দেওয়া।