চাক্তাই–খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে বেড়েছে মিয়ানমারের পেঁয়াজের সরবরাহ। গত দুইদিনে ৩০ টন পেঁয়াজ বাজারে প্রবেশ করেছে। এছাড়া গতকাল পাকিস্তান ও মিয়ানমার থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা আরো ১৩ কন্টেনার পেঁয়াজ জাহাজ থেকে নামানো হয়েছে। এরমধ্যে চার কন্টেনার খালাস হয়েছে। বাকিগুলো খালাসের প্রক্রিয়ায় আছে। কাস্টমসের কর্মকর্তারা জানান, এপর্যন্ত পাকিস্তান ও মিয়ানমার থেকে ৩১০ টন পেঁয়াজ এসেছে। এদিকে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লেও দামের কোনো হেরফের হয়নি। এখনো আগের দরেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। গতকাল চাক্তাই খাতুনগঞ্জের বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকা এবং মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে।
খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস দৈনিক আজাদীকে বলেন, গত সোমবার রাতে খাতুনগঞ্জে মিয়ানমারের ৩০ টন পেঁয়াজ প্রবেশ করেছে। পাকিস্তানি পেঁয়াজ বন্দরে এসেছে শুনেছি। আগামী দুই একদিনের মধ্যে সেইসব পেঁয়াজ বাজারে আসবে।
আফরা ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. আলাউদ্দিন বলেন, মিয়ানমারের পেঁয়াজের মান ভারতীয় পেঁয়াজের মতো নয়। তবে বর্তমানে যে সংকট রয়েছে, তাই কিছু করার নেই। মিয়ানমারের ব্যবসায়ীরা বুকিং রেট বাড়িয়ে দিয়েছে, তাই আমদানি খরচ বেশি পড়ছে। আমদানি খরচ বেশি পড়ার কারণে দামও বেশি। তবে সরবরাহ আরো বাড়লে তখন দাম কমবে।
এদিকে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, শুল্কায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া মাত্রই আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেঁয়াজের চালান ডেলিভারি দিচ্ছি।
উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধের ঘোষণা দেয়। এতেও সংকট সৃষ্টি হয়। গত বছর ২৯ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। সেই সময় দুই দফায় পেঁয়াজের দাম ২০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। তাই আমদানিকারকরা মিয়ানমার, চীন, মিশর, পাকিস্তান, তুরস্কের মতো দেশগুলোতে পেঁয়াজ এনে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করে। বর্তমানে দেশের আমদানিকারকরা ভারতের বিকল্প হিসেবে চীন, মিয়ানমার, পাকিস্তান, মিশর, তুরস্ক, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নিয়েছে।