ইয়াবার বিনিময়ে অস্ত্র সরবরাহকারী সিন্ডিকেটের ব্যাপারে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার এক আসামির আদালতে দেয়া জবানবন্দি অনুযায়ী মিয়ানমারের নাফ নদী থেকে ইয়াবার বড় চালান বোটে করে সরাসরি আনোয়ারায় খালাস হচ্ছে। এখান থেকে সুবিধামতো চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে। আনোয়ারায় এসব চালান বুঝে নিচ্ছে এমন একজনের তথ্য পাওয়া গেছে। সিন্ডিকেটের লোকজন আনোয়ারা উপজেলাকে ইয়াবা খালাসের একটি নিরাপদ রুট হিসেবে মনে করে। গতকাল মহানগর হাকিম হোসেন মোহাম্মদ রেজার আদালতে ইয়াবার বিনিময়ে অস্ত্র সিন্ডিকেটের ফোরকান নামে এক আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে এসব তথ্য উঠে এসেছে বলে জানান বাকলিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন।
তিনি বলেন, আসামি ফোরকানের জবানবন্দিতে জানা যায়- নৌ রুটের পাশাপাশি সড়কপথেও ইয়াবা পাচার হয়। ইয়াবা পাচারের জন্য রোহিঙ্গা নাগরিকদেরও তারা ব্যবহার করে। জবানবন্দিতে ফোরকান জানায়, ইয়াবা বহনকারীরা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় চালান পৌঁছে দিয়ে তাদের দায়িত্ব শেষ করে। কার কাছে যাচ্ছে তাদের ব্যাপারে পাচারকারীরা কিছু জানার সুযোগ নেই। বহনকারীরা ইয়াবা জায়গামতো পৌঁছে দিয়ে চলে যাওয়ার পর সেই চালান আরেকটি গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলে। পৃথক আরেকটি গ্রুপ ইয়াবা বহনকারীদের পাওনা বুঝে দেয়ার কাজ করে থাকে। এর আগে গত ৫ নভেম্বর বাকলিয়া নতুনব্রিজ এলাকা থেকে একটি বিদেশি পিস্তলসহ আব্দুর রাজ্জাক (২১) নামে একজনকে
গ্রেপ্তার করে বাকলিয়া পুলিশ। আটককৃত ব্যক্তির তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ থানাধীন লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কামালকে (৪০) অস্ত্রটি বুঝে দেয়ার কথা ছিল। পরে পুলিশ কামালকে গ্রেপ্তার করে। তাদের রিমান্ডে এনে তথ্যের ভিত্তিতে ১৩ নভেম্বর নতুন ব্রিজ থেকে ১ হাজার পিচ ইয়াবাসহ মোবারক নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মোবারকের তথ্যমতে পুলিশ তার ইয়াবা ব্যবসার সহযোগী ফোরকানকে (৩০) আন্দরকিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে। ফোরকানের দেয়া তথ্যমতে, গত ১৪ নভেম্বর তাহের,আলী জোহর (২৮) ও আসমা (২২) নামের আর তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।