মিয়ানমারে জাতিসংঘের মানবাধিকার তদন্ত কর্মকর্তা টমাস অ্যান্ড্রু বলেছেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে এর বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভ দমাতে কমপক্ষে ৭০ জনকে ‘হত্যা’ করেছে ক্ষমতা দখলকারী জান্তা।
তার মতে, বিক্ষোভ দমনে সামরিক বাহিনীর এই ‘খুন, নির্যাতন ও হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড’ মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে। অ্যান্ড্রু জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদকে বলেছেন, নিহতদের অর্ধেকের বেশির বয়স ২৫ বছরের কম। সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর দুই হাজারের বেশি মানুষকে বেআইনিভাবে আটক করা হয়েছে এবং প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বেড়েই চলছে। ‘মিয়ানমার নামের দেশটি খুনি ও অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর লোকেরা বিক্ষোভকারী, চিকিৎসাকর্মী ও পথচারীদের নির্মমভাবে মারধর করেছে- এমন ঘটনার বিস্তৃত ভিডিওচিত্র প্রমাণ হিসেবে রয়েছে। সহিংসতার এমন ভিডিওচিত্র রয়েছে, যেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর হামলার পরের পরিস্থিতিও উঠে এসেছে, দেখা গেছে প্রাণঘাতি গুলি বিক্ষোভকারীদের মাথায় আঘাত করেছে, এবং সেনাসদস্যরা নিহত প্রতিবাদকারীদের মৃতদেহ সরিয়ে নিচ্ছে। তবে মিয়ারমার কর্তৃপক্ষ সহিংস বিক্ষোভ মোকাবেলায় সর্বোচ্চ ধৈর্য্যের পরিচয় দিচ্ছে’ মন্তব্য করে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব চ্যান আয়ে বলেছেন, প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। খবর বিডিনিউজের।
জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের আলোচনায়, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংস পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে এবং গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা বুঝিয়ে দিতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ওপর চাপ প্রয়োগে সব সদস্য রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত – রাশিয়া ও চীন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, পাশাপাশি কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি সমুন্নত রাখার কথাও বলেছে।