মিয়ানমারে অস্ত্রের খোঁজে যাওয়া সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ২০

আজাদী অনলাইন | শনিবার , ৫ জুন, ২০২১ at ৮:১৪ অপরাহ্ণ

মিয়ানমারের ইরাবতী নদীর ব-দ্বীপ অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীদের সংঘর্ষে ‍অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম ও বাসিন্দারা।
সেনা সদস্যরা অস্ত্রের খোঁজে তল্লাশি শুরুর পর গ্রামবাসীরা গুলতি ও তীর-ধনুক নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুললে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। বিডিনিউজ
স্থানীয় অন্তত চারটি গণমাধ্যম ও একজন বাসিন্দার বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দেশটির প্রধান শহর ইয়াংগন থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমে হালায়াসওয়ে এলাকায় আজ শনিবার (৫ জুন) ভোরের আগে সংঘর্ষ শুরু হয়। তারা অস্ত্র খুঁজতে এসেছে সৈন্যরা এমন কথা জানানোর পর ঘটনা শুরু হয়।
প্রতিশোধের আশঙ্কায় পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বাসিন্দা বলেন, গ্রামবাসীরা শুধু তীর হাতে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সংঘর্ষে অনেক গ্রামবাসী হতাহত হয়েছেন।
খিত থিত মিডিয়া ও বার্তা সংস্থা ডেল্টা জানিয়েছে, সংঘর্ষে ২০ জন নিহত ও আরও বহু লোক আহত হয়েছেন।
তারা জানিয়েছেন, কথিত অস্ত্র উদ্ধারের নামে সৈন্যরা গ্রামবাসীদের লাঞ্ছিত করলে তারা গুলতি নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, ইরাবতী অঞ্চলের কিয়নপিও শহর সংলগ্ন হালায়াসওয়ে গ্রামের এ সহিংসতার বিষয়ে মন্তব্যের জন্য তারা মিয়ানমারের সামরিক জান্তার মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি এবং স্বতন্ত্রভাবে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোও যাচাই করতে পারেনি।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চি’র নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। তারপর চার মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এখনো জান্তা বাহিনী দেশটির পুরো নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি।
সেনা অভ্যুত্থানের পর পর বাণিজ্যিক নগরী ইয়াংগন এবং রাজধানী নেপিডোতে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে টানা বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই বিক্ষোভ এখন ছোট ছোট শহর এবং গ্রামাঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে। টানা বিক্ষোভে মিয়ানমার অনেকটাই অচল হয়ে পড়েছে।
অভ্যুত্থানের পর থেকে এটি ইরাবতী অঞ্চলে সংঘটিত সবচেয়ে সহিংস ঘটনাগুলোর একটি। চাউল উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চলটিতে মিয়ানমারের সংখ্যাগুরু বামার জনগোষ্ঠী ও সংখ্যালঘু কারেন জনগোষ্ঠীর বহু লোক বাস করেন। দেশটির সেনাবাহিনীর বেশিরভাগ সদস্যই এই বামার জনগোষ্ঠীর লোক।
মিয়ানমারে গত ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া সেনাঅভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত অন্তত ৮৪৫ বিক্ষোভকারী প্রাণ হারিয়েছেন এবং সাড়ে চার হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী কারাগারে বন্দী আছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় একটি মানবাধিকার আন্দোলনকারী গোষ্ঠী।
জান্তা বাহিনী অবশ্য নিহত এবং কারাবন্দীদের এই সংখ্যার সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করে আসছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচন্দনাইশে কাভার্ডভ্যানের চাপায় সাইকেল আরোহী কিশোর নিহত
পরবর্তী নিবন্ধচন্দনাইশ পৌরসভার প্রতিটি নাগরিক পাবে সুপেয় পানি: নজরুল ইসলাম এমপি