মিয়ানমারের এজেন্ট হত্যা করেছে মুহিবুল্লাহকে

ভিডিও বার্তায় আরসা প্রধান জুনুনী

টেকনাফ প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ১২ অক্টোবর, ২০২১ at ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ

আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা আরসা প্রধান হাফেজ আবু আমর আতাউল্লাহ জুনুনী গতকাল সোমবার (১১ অক্টোবর) এক ভিডিও বার্তায় রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ড মিয়ানমার সরকারের এজেন্সি করেছে দাবি করে বলেন, “রোহিঙ্গা নেতা
মুহিবুল্লাহ বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের অধিকার নিয়ে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার পক্ষে ছিলেন। ঠিক তেমনি আরসাও মিয়ানমারের পূর্ণ অধিকার নিয়ে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার পক্ষে কাজ করছে।”

তিনি বলেন, “এখানে আরসা আর মুহিবুল্লাহর কাজে তেমন কোনো ভিন্নতা ছিল না। রোহিঙ্গাদের জন্য একই ধরনের কাজ করছিল। তাই মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে আরসা কোনোভাবেই জড়িত নই। বরং মিয়ানমার সরকারের এজেন্ট বা কোনো এক আন্তর্জাতিক এনজিও ল সংস্থা যারা রোহিঙ্গারা ফিরে যাক চায় না এমন কেউ এ ধরনের হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে আরসা’র ওপর দোষ চাপিয়ে দিয়ে ফায়দা লুটতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে।”

আরসা প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনী আরো বলেন, “এ ঘটনায় মিয়ানমারের সামরিক সরকারই সবচেয়ে খুশি হয়েছে। আর যারা কি না মুহিবুল্লাহর নেতৃত্ব অপছন্দ করতো এমন কেউ ব্যবহৃত হয়েছে। এ ধরনের জালেমী ঘটনায় আরসা কোনোভাবেই জড়িত থাকতে পারে না।”

বিষয়টি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী, বাংলাদেশ ও দেশ-বিদেশের নজরে আনা দরকার মনে করে এই ভিডিও বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এ ভিডিওবার্তায় আরসা প্রধান জুনুনী বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ মানবতা দেখিয়েছে তার জন্য রোহিঙ্গারা কৃতজ্ঞ। তবে মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় সাধারণ নিরীহ রোহিঙ্গাদের ওপর ধরপাকড় না করে প্রকৃত অপরাধীদের আটক করতে হবে যাতে প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করা যায়।”

তিনি সাধারণ রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-পীড়ন না চালানোরও আহ্বান জানান এ ভিডিও বার্তায়।

উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে দুর্বৃত্তরা গুলি করে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস এন্ড হিউম্যান রাইট্স চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহকে নিজ অফিসে হত্যা করে। তারপর থেকে এ হত্যাকাণ্ড আরসা সদস্যরা সংঘটিত করেছে বলে দাবি করে আসছিল নিহতের পরিবার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুই সেনা কর্মকর্তাসহ ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা