মিষ্টি ও কাপড়-চোপড় নিয়ে নানির মৃত্যু পরবর্তী কর্ম ক্রিয়ার অনুষ্ঠানে ফটিকছড়ি নানপুর যাওয়ার পথে চট্টগ্রামের হাটহাজারী চারিয়া বোর্ড স্কুল এলাকায় চট্টগ্রাম শহরমুখী বাস আর ফটিকছড়িমুখী সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই একই পরিবারের ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত রিতা দাশের বড় জা মল্লিকা দাশ দৈনিক আজাদীকে বলেন, মিষ্টি ও কাপড়-চোপড় নিয়ে নিহত রিতা দাশের নানির মৃত্যু পরবর্তী কর্ম ক্রিয়ার অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য সবাই মিলে সিএনজি অটোরিকশা যোগে চন্দনাইশ উপজেলার জোয়ারা এলাকা থেকে প্রথমে কর্ণফুলী ব্রিজের দক্ষিণ পাশে মইজ্জারটেক যান সেখানে থেকে আরেকটি সিএনজি অটোরিকশা যোগে অক্সিজেন মোড়ে পৌঁছেন।
সেখান থেকে ফটিকছড়ি নানপুর পর্যন্ত অপর একটি সিএনজি অটোরিকশা যোগে যাওয়ার পথে হাটহাজারী উপজেলার চারিয়া বোর্ড স্কুল এলাকায় চট্টগ্রাম শহরমুখী বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলেন- চন্দনাইশ উপজেলার জোয়ারা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড দুলাল মাষ্টার এর বাড়ির ওমান প্রবাসী নারায়ণ দাশের স্ত্রী রিতা দাশ (৪০), কন্যা শ্রাবন্তী দাশ ১৭), বাক প্রতিবন্ধী কন্যা বর্ষা দাশ (১০) এবং জমজ দুই ছেলে দীপ দাশ (৩) এবং দীপ্ত দাশ (৩)। নারায়ণ দাশের জেঠাত বোন চিনু দাশ (৪০) এবং ভ্রাতুষ্পুত্র সম্ভু দাশের পুত্র বিল্পব দাশ (২৭)।
স্ত্রী সন্তান সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন ওমান প্রবাসী নারায়ণ দাশ, একইসাথে স্বজনদের সবাইকে হারিয়ে পাগলপারা হয়ে তিনি দেশে ফিরছেন বলে জানা গেছে। তিনি বাড়িতে পৌঁছালে নিহতদের লাশের সৎকার করা হবে।
২নং জোয়ারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিন আহমেদ চৌধুরী রোকন দৈনিক আজাদীকে জানান, মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় আমার এলাকার একই পরিবারের ৭ জনের মৃত্যুর খবর পেয়ে আমি নিহতদের বাড়ি এসেছি, হাটহাজারী থানার ওসির সাথে কথা বলেছি, বিনা ময়নাতদন্তে যাতে তাদের লাশ স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয় সেই অনুরোধ করেছি, লাশ বাড়িতে পৌঁছালে আমার ব্যাক্তিগত অর্থায়নে তাদের সৎকার করার ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা বেগম দৈনিক আজাদীকে বলেন, গণমাধ্যমে নিউজ দেখে আমি বিষয়টি জেনেছি, যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে নিহতদের পরিবারে আর্থিক অনুদান দেওয়ার ব্যাবস্থা নিবো।