রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারের মদীনা আশিক টাওয়ারে হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের টর্চার সেলের সন্ধান পেয়েছে র্যাব। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ইরফানের বাড়ির কাছাকাছি ওই টাওয়ারে অভিযান চালানো হয়।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. ক. আশিক বিল্লাহ বলেন, মদিনা আশিক টাওয়ার ভবনের ছাদের একটি রুম থেকে মানুষের হাড় উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের কাছে তথ্য ছিল ওই কক্ষটি টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করা হতো। এরপর আমরা অভিযান চালিয়েছি। তিনি আরও বলন, টর্চার সেল থেকে হকিস্টিক, হ্যান্ডকাপ, ছোরা, মোটা দড়ি, গামছা, ইলেকট্রিক শক দেওয়ার তারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম এবং ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। তবে মানুষের হাড়ের বিষয়ে নিশ্চিত করে কোনো মন্তব্য করেননি কেউ। ফরেনসিক করার পর এবিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানিয়েছে র্যাবের কর্মকর্তারা।
আশিক টাওয়ারটি ১৬ তলা ভবন। পুরান ঢাকার সবচেয়ে বড় ভবন এটি। ভবনের ১৬ তলায় হাজী সেলিম মালিকানাধীন মদিনা ডেভেলাপারের অফিস। এর ওপরেই ছাদে টর্চার সেল। ভবনের নিরাপত্তাকর্মী আব্দুল খালেক বলেন, মদিনা ডেভেলাপারে হাজী সেলিম নিজেও অফিস করেন। তার ছেলে ইরফান সেলিমও মাঝেমাঝে আসেন। তারা ছাদেও যান। তবে টর্চার সেলের বিষয়ে কোনো কিছু জানেন না বলে জানান তিনি।
সুউচ্চ আশিক টাওয়ারে মদিনা ডেভেলাপরের অফিসে কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে গতকাল রাতেও দেখা গেছে। তারা জানিয়েছেন, হাজী সেলিম ও ইরফান সেলিম দুজনই এই অফিসে আসেন। তবে তারা টর্চার সেলের বিষয়ে কিছু বলতে পারেনি। এর আগে সন্ধ্যায় র্যাবের মুখপাত্র লে. ক. আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের বাড়ির পাশে চকবাজারে আরও একটি টর্চার সেলের সন্ধান পেয়েছে র্যাব। এসময় তিনি বলেন, হাজী সেলিমের ছেলে কাউন্সিলর ইরফান সেলিম এবং তার সহযোগী জাহিদুল ইসলামকে এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। মাদক ও অবৈধভাবে ওয়াকিটকি রাখার অপরাধে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের দুজনকে একবছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। হাজী সেলিমের বাড়ি থেকে উদ্ধার অস্ত্র ও মাদকের ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে দুটি মামলা করবে বলে জানিয়েছেন আশিক বিল্লাহ।