মির্জা ফখরুল কখন রাজাকারদের মুক্তিযোদ্ধা বলে বসেন শঙ্কায় আছি

দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানা উদ্বোধনে তথ্যমন্ত্রী

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | রবিবার , ১০ এপ্রিল, ২০২২ at ৬:০৪ পূর্বাহ্ণ

বেগম খালেদা জিয়াকে নারী মুক্তিযোদ্ধা বানাতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কখন যে রাজাকারদের মুক্তিযোদ্ধা বলে বসেন সেই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। খবর বাসসের।
তিনি বলেন, রাজাকাররাও আসলে মুক্তিযোদ্ধা, কারণ তারা পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ করেছে। সেই শঙ্কার মধ্যেই আছি, মির্জা ফখরুল কখন আবার তাদের মুক্তিযোদ্ধা বলে বসেন। তাঁর কাছে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞাটা কী আমি জানি না।
মন্ত্রী গতকাল শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চারটি ইউনিয়ন নিয়ে নবগঠিত ‘দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া’ থানার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। এর আগে ফিতা কেটে নতুন থানার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জাকির হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হকসহ পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে নারী মুক্তিযোদ্ধা দাবি করেছেন দলটির মহাসচির মির্জা ফখরুল, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, তিনি মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস পাকিস্তানিদের ক্যান্টনমেন্টেই তাদের আতিথেয়তায় ছিলেন। একেবারে নতুন বউয়ের আদরে তাকে আতিথিয়েতা দেয়া হয়েছিল। এখন হঠাৎ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব আবিষ্কার করলেন খালেদা জিয়া নাকি নারী মুক্তিযোদ্ধা !
সরকার বিদেশীদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা তো কথায় কথায় বিদেশীদের কাছে দৌড় দেন, কোন কিছু হলেই বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের ডেকে কথা বলেন। এমনকি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব নিজে কংগ্রেসম্যানদের কাছে চিঠি লিখেছিলেন বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করার জন্য।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া বাংলাদেশকে যাতে সাহায্য বন্ধ করে দেয়া হয় এবং বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিল করে দেয়ার জন্য চিঠি লিখেছিলেন। এ নিয়ে নিজের নামে নিবন্ধ লিখেছেন ওয়াশিংটন টাইমসে। যারা কথায় কথায় বিদেশীদের কাছে দৌড় দেয় তারাই এসমস্ত উদ্ভট কথা বলতে পারে। হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগের সরকারের ভিত জনগণের মধ্যে। এখানে কাউকে বিদেশীরা ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে না। আমরা জনগণের ক্ষমতায় বলিয়ান, আমরা জনগণের ক্ষমতাতে বিশ্বাস করি। বিদেশিদের কাছে ক্ষণে ক্ষণে দৌড় দেয় বিএনপি এবং তাদের মিত্ররা।
দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া নতুন থানা স্থাপন প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রায় দুই বছর আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এখানে থানা স্থাপন করার সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। প্রশাসনিক অন্যান্য ধাপগুলো অতিক্রম করে আজ থানার কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক শুরু হতে যাচ্ছে। রাঙ্গুনিয়ার অন্য অংশের সাথে কর্ণফুলী নদী দ্বারা দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া বিভক্ত। এই এলাকায় ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস। রাঙ্গুনিয়া থানা থেকে এসে এখানে সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হতো। অপরাধিরা এখানকার পাহাড়ি এলাকায় পালিয়ে যেতো। সেই কারণেই এখানে থানা স্থাপন করা অত্যন্ত দরকার ছিল, স্থানীয়দেরও দাবি ছিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনাছিরের বিরুদ্ধে কেন্দ্রে দুই নেতার লিখিত অভিযোগ
পরবর্তী নিবন্ধকাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫ ইউনিটের ৩টি বন্ধ