বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অহরহ মিথ্যা বলেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত সদ্য প্রয়াত অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের স্মরণ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুলের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনি বলেছেন, ৫০ বছরে আমরা শুধু দলাদলি করেছি। দেশ আগায়নি। আজকে দেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আপনি একজন শিক্ষিত মানুষ হয়ে এটা অনুধাবন করতে পারলেন না। তিনি বলেন, আপনি ঢাকা কলেজে পড়াতেন। একজন শিক্ষিত মানুষ, একজন মার্জিত মানুষও বটে। যদিও বিএনপির পক্ষে কথা বলতে গিয়ে অহরহ মিথ্যা কথা বলেন। দেশ এগিয়ে গেল, স্বল্প উন্নত থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হলো। জাতিসংঘ সেটি সার্টিফায়েড করেছে। এই তথ্যগুলো আপনার কাছে নেই, আমি অবাক হচ্ছি। বিএনপি যদি নেতিবাচক রাজনীতি আর দলাদলি না করতো, তাহলে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারতো। তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, মুশতাক আহমেদের অনাকাঙ্খিত মৃত্যুকে নিয়ে প্রতিদিন প্রেসক্লাবের সামনে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারের অভ্যন্তরে চার জাতীয় নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর বিপথগামী সদস্যরা সেখানে গিয়ে গুলি করে হত্যা করেছিল।
তখন সেনাপ্রধান ছিলেন জিয়াউর রহমান। মোস্তাকের নির্দেশে জিয়াউর রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় ৩ নভেম্বর ওই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করা হয়েছিল। আজকে সেই কথা কেউ বলে না। ১৯৭৫ সালের পর কারাগারে অসংখ্য নেতাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছিল। যাদের প্রতিষ্ঠাতা সেই জিয়াউর রহমান, তারা এগুলো নিয়ে কথা বলে না। কারাগারের যেকোনো মৃত্যু অবশ্যই অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্খিত।
তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরই সরকার ব্যবস্থা নেবে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পানি ঘোলা করে লাভ হবে না। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তার মৃত্যু স্বাভাবিক হয়েছে, নাকি কারা কর্তৃপক্ষের অবহেলা ছিল, নাকি অন্য কোনো কারণ ছিল-সেগুলো তদন্তে বেরিয়ে আসবে। তারপর সরকার ব্যবস্থা নেবে। একজনের মৃত্যুর কারণে ওই আইন বাতিল করতে হবে-এটা তো আইনের দোষ না। আইন সবার জন্য। অবশ্য এ আইনের যেন অপব্যবহার না হয়, সেজন্য আমরা সতর্ক আছি।