মির্জা ফখরুলরা যে হৃদয়ে পাকিস্তান লালন করেন সেটি মুখ ফসকে বলে ফেলেছেন

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

| শুক্রবার , ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ১০:০৭ অপরাহ্ণ

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, “প্রকৃতপক্ষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল, তার নেত্রী খালেদা জিয়া ও তাদের দল যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না, হৃদয়ে যে পাকিস্তানকেই লালন করে সেটির নগ্ন বহিঃপ্রকাশ তিনি মুখ ফসকে বলে ফেলেছেন।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চায় বিএনপিসহ সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। তারাই নির্বাচন থেকে পালিয়ে যায়। ২০১৮ সালেও তারা নির্বাচন থেকে পালাতে গিয়ে গিয়ে আবার অংশগ্রহণ করেছিল। আগামী নির্বাচনেও তারা প্রস্তুতি নিয়ে অংশগ্রহণ করুক সেটিই আমরা চাই। কিন্তু তারা আন্দোলনের নামে যেভাবে আবার নিজেরা নিজেরা মারামারি করছে, পুলিশের ওপর আক্রমণ করছে, আবার পেট্টোলবোমা সন্ত্রাসীদের মাঠে নামিয়েছে, এজন্য জনগণই তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে।”

আজ শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে আটটায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানের চেয়েও খারাপ পর্যায়ে চলে গেছে, পাকিস্তানই ভালো ছিল মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “আমরা এতদিন ধরে যে কথা বলে আসছিলাম, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব, তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তার দল হৃদয়ে পাকিস্তানকেই যে লালন করে, সেটি মুখ ফসকে গতকাল তার মুখ দিয়ে বেরিয়ে এসেছে। তারা যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না সেটিরই বহিঃপ্রকাশ করেছেন।”

তিনি বলেন, “আমরা অর্থনৈতিক, সামাজিক, মানব উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসহ সমস্ত সূচকে পাকিস্তানকে ২০১৫ সালে অতিক্রম করেছি। আমাদের মাথাপিছু আয় পাকিস্তানের চেয়ে অনেক বেশি বটেই, এমনকি ভারতের চেয়েও বেশি। আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার আগে দারিদ্রসীমার হার বাংলাদেশে ৪১ শতাংশ ছিল, এখন সেটি ২০ শতাংশে নেমেছে। মাথাপিছু আয় তিন হাজার ডলারের উপরে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষের গড় আয়ু ৬৩ বছরের বেশি।”

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তানও সেটি স্বীকার করে। আমরা যে পাকিস্তানকে ফেলে অনেক দূর এগিয়ে গেছি সেটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে পাকিস্তানের সাবেক ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীসহ রাজনীতিবিদরা স্বীকার করে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে। আর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব গতকাল ঠাকুরগাঁও গিয়ে বললেন পাকিস্তানই ভালো ছিল।”

তিনি বলেন, “আমরা চাই তারা পুলিশের ওপর ও জনগণের ওপর হামলার পরিবর্তে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করুক। তারা যেখানে নিয়মতান্ত্রিকভাবে সমাবেশ করে সেখানে তো পুলিশ কখনো বাধা দেয় না। যেখানে তারা সন্ত্রাসীদের মাঠে নামিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ পরিচালনা করছে সেখানে পুলিশকে আত্মরক্ষার্থে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়েছে এবং জনগণও তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।”

জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনে আলাদা নির্বাচন করবে জিএম কাদেরের এমন ঘোষণার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “তিনি বলেছেন তারা কোনো জোটে নাই, তিনি সঠিকই বলেছেন। গতবারও তারা আমাদের সাথে জোটবদ্ধ নির্বাচন করেনি। ২০০৯ সালে আমরা তাদের সাথে জোটবদ্ধ নির্বাচন করেছিলাম। ২০১৮ সালে আমাদের সাথে তাদের স্ট্যাটেজিক্যাল এলায়েন্স ছিল।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিড়ালগুলোর চোখে চশমা, গলায় ঘণ্টা
পরবর্তী নিবন্ধবান্দরবান সীমান্তে ফের মিয়ানমার বাহিনীর মর্টার-গুলি