মিরাজের সেঞ্চুরিতে মোহামেডানের জয়

স্পোর্টস ডেস্ক | মঙ্গলবার , ২৫ মার্চ, ২০২৫ at ১০:৩৪ পূর্বাহ্ণ

খেলা শুরুর আগে হুট করে বুকে প্রচণ্ড ব্যথা হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হলো তামিম ইকবালকে। মাঠে অধিনায়কের অভাব অবশ্য বুঝতে দিলেন না মেহেদী হাসান মিরাজ। দারুণ বোলিংয়ের পর উপহার দিলেন চমৎকার এক সেঞ্চুরি। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে গতকাল সোমবার শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জিতেছে মোহামেডান। প্রতিপক্ষের ২২৩ রান তারা পেরিয়ে গেছে ৪৬ বল বাকি থাকতে। বল হাতে ৩৩ রানে ২ উইকেট নেওয়ার পর, ব্যাট হাতে তামিমের অনুপস্থিতিতে ইনিংস শুরু করতে নেমে ১০৩ রান করেন মিরাজ। তার ৮৬ বলের ইনিংসটি সাজানো ৩ ছক্কা ও ১০ চারে। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটি মিরাজের তৃতীয় সেঞ্চুরি। এই সংস্করণে তার আগের দুই শতকই ওয়ানডেতে। ২০২৩ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১১২ রান করে হন আহত অবসর। এর আগের বছর ভারতের বিপক্ষে খেলেছিলেন ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংস। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নেন মিরাজ। খেলা শেষে অধিনায়ক তামিমকে দেখতে মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিম, মাহিদুল অঙ্কনের সঙ্গে তিনিও হাসপাতালে যান।

সাভারের বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে এদিন টসও করেছিলেন তামিম। কিন্তু কিছুক্ষণ পর বুকে ব্যথা শুরু হলে বিকেএসপির কাছেই কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে ভর্তি করা হয় তাকে। এনজিওগ্রাম রিপোর্টে হার্টে একটা ব্লক ধরা পড়ে এবং দ্রুততার সঙ্গে স্টেন্ট বসানো হয়। জ্ঞান ফিরেছে তার। আপাতত ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে থাকবেন দেশসেরা ওপেনার। টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নামা মোহামেডানকে ভালো শুরু এনে দেন নাসুম আহমেদ। প্রতিপক্ষের দুই ওপেনারকে দ্রুত ফিরিয়ে দেন বাঁহাতি এই স্পিনার। মিরাজ, তাইজুল ইসলামের ছোবলে এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে শাইনপুকুর। ৪টি করে ছক্কাচারে দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৭৭ রান করেন অধিনায়ক রায়ান রাফসান। ক্যারিয়ারে প্রথম ফিফটিতে ১ ছক্কা ও ৬ চারে ৬৯ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন শরিফুল ইসলাম। শাইনপুকুরের আর কেউ ২৫ রানও করতে পারেননি। মোহামেডানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তাইজুল। মিরাজ ছাড়াও দুটি করে শিকার ধরেন নাসুম ও সাইফ উদ্দিন। একটি প্রাপ্তি মাহমুদউল্লাহর। রান তাড়ায় মিরাজ ও রনি তালুকদারের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় মোহামেডান। চার মেরে রানের খাতা খোলা মিরাজ পঞ্চাশে পা রাখেন জুবায়ের হোসেনকে ছক্কায় উড়িয়ে, ৪৯ বলে। এরপর আগ্রাসী হয়ে ওঠেন তিনি। ফিফটি থেকে তিন অঙ্কের ছোঁয়া পেতে তার লাগে কেবল ৩২ বল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএমন উদ্বেগই প্রমাণ করে জাতি তামিমকে কতটা ভালোবাসে : বিসিবি
পরবর্তী নিবন্ধবাংলাদেশ জুডো ফেডারেশনের সভাপতি হলেন ফিরোজ আহমেদ