আঙ্গুলের ইনজুরির কারনে চট্টগ্রাম টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। তার জায়গায় চট্টগ্রাম টেস্টের দলে এসেছেন চট্টগ্রামের ছেলে নাঈম হাসান। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী গতকাল বুধবার মিরাজের ছিটকে যাওয়ার কথা জানান।
গত ২৪ এপ্রিল প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে একটি ক্যাচ ধরতে গিয়ে মিরাজের ডান হাতে কনিষ্ঠার হাড় নড়ে গেছে। এক্সরেতে কিছুটা অ্যাভালশন ফ্র্যাকচার ধরা পড়েছে। ইনজুরি পাওয়া জায়গা নিরাপদ রাখতে স্প্লিন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। প্রাথমিক পর্যবেক্ষনে মনে হচ্ছে সেরে উঠতে তার তিন সপ্তাহের মতো সময় লাগতে পারে। মিরাজের ইনজুরির কারনে দলে ফিরেছেন ২২ বছর বয়সী অফ স্পিনার নাঈম।
তার ৭ টেস্টের সবশেষটি তিনি খেলেন গত বছর দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। সেই সিরিজে বল হাতে ভীষণ বিবর্ণ ছিলেন নাঈম। ২ ম্যাচে ৪৪.৫০ গড়ে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। একাধিক উইকেট নেওয়া বোলারদের মধ্যে যা ছিল সবচেয়ে বাজে। ধারহীন বোলিংয়ের পর বাদ পড়েন টেস্ট দল থেকে। তবে আলো ছড়ান গত জাতীয় ক্রিকেট লিগে। ৫ ম্যাচে নেন ৩২ উইকেট। খারাপ করেননি বিসিএলেও। ৩ ম্যাচে তার উইকেট ১৪টি।
ব্যাটিংয়ের হাতও একেবারে খারাপ নয় নাঈমের। শেষ দিকে টুকটাক অবদান রাখার সামর্থ্য তার আছে। তবে মিরাজকে হারানো বোলিং ও লোয়ার অর্ডারের ব্যাটিং দুই দিক থেকেই বড় ক্ষতি। কাঁধের ইনজুরির জন্য আগেই ছিটকে গেছেন পেসার তাসকিন আহমেদ। আরেক পেসার শরিফুল ইসলামের খেলা নির্ভর করছে অসুস্থতা থেকে সেরে ওঠার উপর। সব মিলিয়ে শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে নিজেদের প্রথম পছন্দের বোলিং আক্রমণ পাচ্ছে না বাংলাদেশ। আগামী ৮ মে চট্টগ্রামে শুরু হবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য স্বাগতিকদের প্রস্তুতি। সেদিনই ঢাকায় পৌঁছাবে শ্রীলংকা। জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ১৫ মে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২৩ মে শুরু হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। এই সিরিজ আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ।
বাংলাদেশ টেস্ট দল: মোমিনুল হক (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাস, ইয়াসির আলি চৌধুরি, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, ইবাদত হোসেন চৌধুরি, শহিদুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, নুরুল হাসান সোহান, রেজাউর রহমান রাজা, শরিফুল ইসলাম (ফিটনেসের ওপর)।