আজ মাঠে গড়াচ্ছে মিরপুর টেস্ট। গতকাল অনুশীলন করেছে দু দল। তবে সকালে বাংলাদেশ দলের অনুশীলন যখন শুরু হয় তখন ব্যাটারদের বেশিরভাগেরই ব্যস্ততা ইনডোরের নেটে। এ সময় নাঈম হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ ছিলেন মূল মাঠে। একটি উইকেটে তারা বল করছিলেন স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদের তত্ত্ববধানে। তাদের বলে কিপিংয়ের প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছিলেন লিটন দাস। তার পেছনে দাঁড়িয়ে পুরো চিত্রটা দেখছিলেন নতুন হেড কোচ ফিল সিমন্স। প্রতিপক্ষের জন্য যে ‘স্পিন ফাঁদ’ থাকবে বাংলাদেশের, তার একটা আগাম বার্তাও যেন পাওয়া গেল এতে। পরে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও জানিয়েছেন, মিরপুরে যেমন উইকেট থাকে, এবারও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে থাকবে তেমনই। সাকিব আল হাসান না থাকলেও বাংলাদেশের স্পিনাররা তাই তৈরি হচ্ছেন তেমন লড়াইয়ের জন্য। তারা যে আলাদা গুরুত্ব পাবেন, তাও জানিয়েছেন অধিনায়ক। তিনি বলেন স্পিনারদের বাড়তি ভূমিকা তো থাকবেই। সবসময় যেটা থাকে। যা অতীতেও দেখেছি। অতিরিক্ত কিছু আশা করছি না। অতীতে যেভাবে বল করেছে স্পিনাররা সেভাবেই বল করবে। প্রক্রিয়া যেন ঠিক থাকে। প্রতিটি বল যেন দলের জন্য করি। বাড়তি কোনো কিছু চাই না স্পিনারদের কাছ থেকে। ২০ উইকেট নেওয়া প্রক্রিয়ার ব্যাপার। প্রক্রিয়া ঠিক রাখলে ভালো ফলাফল করা সম্ভব। মিরপুরের উইকেট কেমন থাকবে এমন প্রশ্নের জবাবে শান্ত বলেন জয়ের জন্যই খেলব। মিরপুরের উইকেট যেমন হয় ওরকমই। এর বাইরে কিছু বলতে পারব না। সবার মিরপুরের উইকেট সম্পর্কে ধারণা আছে। দক্ষিণ আফ্রিকা দলের কেউই এর আগে বাংলাদেশে টেস্ট খেলেননি। টেম্বা বাভুমার অভিজ্ঞতা থাকলেও তিনি প্রথম টেস্টে খেলতে পারছেন না ইনজুরির কারণে। এমন অনভিজ্ঞ দলের বিপক্ষে ভালো কিছু করার বার্তাই দিয়েছেন শান্ত।
তিনি বলেন ওরা অভিজ্ঞ দল না ঠিক আছে, তবে তারা ভালো দল। আমরা সর্বশেষ ৪ টেস্টের দুটি জিতেছি, দুটি হেরেছি। পঞ্চাশ ভাগ জয়ের হার। ভারতে ভালো খেলিনি। দল খুব ভালো অবস্থানে আছে। বিশেষ করে টেস্ট দল। নিজেদের মাঠে আমরা সবসময় ভালো করি। আমাদের যে বোলিং অ্যাটাক বা ব্যাটাররা আছে, পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলে ভালো টেস্টই হবে। দুই দলের জন্যই চ্যালেঞ্জ হবে। যারা সেশন বাই সেশন ভালো খেলবে তারাই জিতবে। তবে আমি অবশ্যই বাংলাদেশ দলকে একটু এগিয়ে রাখব।