কক্সবাজারের টেকনাফে মিয়ানমার থেকে মাদকের একটি চালান প্রবেশকালে জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে এসময় কোন পাচারকারীকে আটক করতে পারেনি। গতকাল শুক্রবার ভোররাতে সাবরাংয়ের জিন্নাহখাল নামক এলাকা থেকে মাদকের চালানটি জব্দ করা হয়। লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। টেকনাফ–২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) অধীন সাবরাং বিওপির একটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল বিআরএম–৫ হতে আনুমানিক ১.৫ কি. মি. দক্ষিণ দিকে জিন্নাহখাল নামক এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচারের খবর পেয়ে সাবরাং বিওপির দুইটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল ওই এলাকায় টহল জোরদার করে। একটি টহলদল বেড়িবাঁধ আঁড় নিয়ে অবস্থান ও অপর একটি টহলদল নাফ নদীতে নৌ টহলরত অবস্থায় থাকে।
এসময় ভোর রাত ১টার দিকে পূর্ব থেকেই কৌশলগত অবস্থানে থাকা বিজিবি টহলদল ৪ জন ব্যক্তিকে একটি ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকা যোগে সীমান্তের শূন্য লাইন অতিক্রম করে আনুমানিক ৭০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জিন্নাহখাল নামক এলাকায় নাফ নদীর কিনারায় নৌকা হতে কিছু বস্তা নামাতে দেখে। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক পরিলক্ষিত হওয়ায় টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই উক্ত ব্যক্তিরা দ্রুত নৌকা নিয়ে সীমান্ত শূন্য লাইন অতিক্রম করে মায়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। পরে টহলদল ওই স্থানে পৌঁছে তল্লাশি চালিয়ে দুই বস্তাভর্তি ৩ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। টহলদল ওই এলাকায় দুপুর পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেও কোন চোরাকারবারি কিংবা তাদের সহযোগীদেরকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে, চোরাকারবারিদেরকে শনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অপরদিকে বিকাল ৩টারদিকে লেদা বিওপির বিজিবি জওয়ানেরা বিআরএম–১১ হতে দেড় কিঃ মিঃ পশ্চিম দিকে রঙ্গিখালী এলাকার আখতারুজ্জামানের বাড়ির পাশে লবণ মাঠের ভিতরে মাদক মওজুদের সংবাদ পেয়ে ব্যাটালিয়ন সদরের একটি বিশেষ টহলদল উক্ত এলাকায় গিয়ে কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে লবণ মাঠের ভিতর তল্লাশি করে আখতারুজ্জামানের বাড়ির পাশে লবণ মাঠে পলিথিনে মোড়ানো ১টি মাদকের প্যাকেট উদ্ধার করে। পরে উদ্ধারকৃত প্যাকেটের ভিতর হতে ১.০২৩ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস জব্দ করা হয়। টেকনাফ–২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ (বিজিবিএমএস) জানান, চোরাকারবারীদের সনাক্ত করার জন্য ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।