মিয়ানমারের মতো দেশকেও কিছু বলা যাবে না?

প্রশ্ন ফখরুলের

| রবিবার , ১৬ জুন, ২০২৪ at ৯:৩৭ পূর্বাহ্ণ

সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে মিয়ানমারের যুদ্ধ জাহাজের উপস্থিতির ঘটনায় সরকার কেন নিশ্চুপ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল দুপুরে রাজধানীতে এক আলোচনায় তিনি বলেছেন, এই যে নতজানু, মিয়ানমারের মতো দেশকেও কিছু বলা যাবে না, এটা কতটা দাসসুলভ মনোভাব হতে পারে!

তিনি বলেন, পত্রিকায় খবরে এসেছে, সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে সংকট, সেখানে আতঙ্ক। কি দুঃখজনক! মানে এটাকে কী বলব? কত ব্যর্থতা এই সরকারের যে, আমার একটা দ্বীপ, সেই দ্বীপে আমরা যেতে পারছি না। সেই দ্বীপে গেলেই অন্য দেশ থেকে গুলি করে মেরে ফেলা হচ্ছে। অথচ এখন পর্যন্ত সরকার কোনো রকমের কোনো বক্তব্য পর্যন্ত দেয়নি। হোম মিনিস্টার সাহেব বললেন, এখনো এমন কোনো অবস্থা হয়নি যে, এটাতে আমরা স্টেটমেন্ট দেব বা কিছু বলব। খবর বিডিনিউজের।

বিএনপি নেতা বলেন, সীমান্তে লোক মারছে একটা কথা বলে না। পানি দেয় না একটা কথা বলে না। আর সেন্টমার্টিনে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে, সেখানে কয়েক লক্ষ মানুষ বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। অথচ এ নিয়ে সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই।

বিএনপিপন্থি সাংবাদিকদের ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, সাংবাদিকরা এক প্ল্যাটফর্মে আসুন। গণতন্ত্রে যারা বিশ্বাস করেন তারা যদি একই জায়গায় আসেন তাহলে কিন্তু আমার মনে হয় আপনারা অনেক বেশি শক্তিশালী হবেন। এখানে আমরা বিভক্তি দেখতে পাই। যারা সিনিয়র আছেন তারা চেষ্টা করেন, তরুণরা যারা আছেন তারা এবার অন্তত চেষ্টা করেন যেন আমরা এক হই।

দুইচারটা বোম টোম ফুটিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যাবে না বলেও মন্তব্য করে তিনি বলেন, মানুষকে নামিয়ে আনতে হবে, মানুষকে জাগিয়ে তুলতে হবে, সব জায়গায় যেতে হবে। তরুণযুবকদের সক্রিয় করতে হবে।

বঙ্গবন্ধুর বাণী ক্ষমতাসীনরা শুনছে? : টেলিভিশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে বাণী প্রচার হয়, তা ক্ষমতাসীনরা শুনছে কিনা, সে প্রশ্নও রাখেন বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, একটা টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারের আগে শেখ মুজিবুর রহমানের কিছু বাণী প্রচার করা হয়। উনি বলছেন, যারা সম্পদ লুণ্ঠন করে, সম্পদ পাচার করে নিয়ে যায়, তাদের এ দেশের মাটিতে কোনো জায়গা নেই। আমি বলি, আজকে যারা ক্ষমতায় আছে তারা কি এটা একবারও শুনছে? দেখছে? কারা সম্পদ লুণ্ঠন করছে, কারা সম্পদ পাচার করছে, এটা দেশের প্রত্যেকটা মানুষ জানে। আপনারা (সাংবাদিকরা) হয়ত সবকিছু লিখতে পারেন না। আমরা কিছু কথাটা বলার চেষ্টা করি। যেমন কয়েকদিন আগে বলেছি নগদ (মোবাইল আর্থিক সেবা দানকারী কোম্পানি) টাকা পাচার করছে কীভাবে? প্রতিটি টাকায় তাদের পাঁচ পয়সা করে কমিশন আছে। এই কমিশনের টাকা কোথায় যায়? আমি এই সম্পর্কে কোনো উত্তর পাইনি।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ নজিরবিহীন কাজ করেছেন মন্তব্য করে ফখরুল কথা বলেন সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদকে নিয়েও। তিনি বলেন, একটি পত্রিকায় দেখলাম সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের ঘটনাগুলোর কিছু কিছু বের হয়ে আসছে। ভাইদেরকে পাসপোর্ট পাইয়ে দেওয়ার জন্য সে পুরোপুরি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে। সেনাবাহিনীর একজন সাবেক প্রধান তিনি এ রকম জালিয়াতি করবেন, আমরা চিন্তা করতে পারি না। পুলিশ প্রধান এ রকম ভয়াবহভাবে ডাকাতি করে গোটা দেশে একটা সাম্রাজ্য গড়ে তুলবেন! তার দুর্নীতি চিন্তা করা যায় না। কিন্তু এরা সেটাকে সম্ভব করেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপটিয়ায় পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ
পরবর্তী নিবন্ধআক্রমণ হলে আমরাকি ছেড়ে দেব?