মিতু হত্যার তদন্ত শেষ করতে আরও সময় দিল হাই কোর্ট

| শুক্রবার , ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৬:১৪ পূর্বাহ্ণ

সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করতে আরও তিন মাস সময় দিয়েছে হাই কোর্ট। আগামী ৬ মে পরবর্তী শুনানির তারিখ রেখে আদালত এ সময় পর্যন্ত মামলার আসামি মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিমের জামিন আবেদনের শুনানি মুলতবি করেছে।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন শংকর প্রসাদ দে। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন।
গত বছর ২ ডিসেম্বর এক আদেশে হাই কোর্ট ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তাকে মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছিল। এ নির্দেশে গত ৩০ জানুয়ারি তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এতে বলা হয়, তদন্ত শেষ পর্যায়ে। মামলার পলাতক দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এজন্য তদন্ত সম্পন্ন করতে আরও সময় প্রয়োজন। প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন। খবর বিডিনিউজের।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে খুন হন বাবুলের স্ত্রী মিতু। চট্টগ্রামে জঙ্গি দমন অভিযানের জন্য আলোচিত বাবুল আক্তার চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনারের দায়িত্ব থেকে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে যোগ দেওয়ার কয়েক দিনের মাথায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। পরদিন ৬ জুন ভোরে নগরীর চকবাজার বড় গ্যারেজ এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। চট্টগ্রামে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততাও মিতু হত্যাকাণ্ডের সম্ভাব্য কারণ হতে পারে ধরে নিয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তবে অল্প দিনেই সে ধারণা থেকে সরে আসেন তদন্তকারীরা। হত্যাকাণ্ড নিয়ে নানা গুঞ্জনের মধ্যে ২০১৭ সালের ২৪ জুন রাতে ঢাকার বনশ্রীতে শ্বশুরের বাসা থেকে বাবুল আক্তারকে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে প্রায় ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। নানা নাটকীয়তার মধ্যে দুই মাস পর বাবুলের চাকরি ছাড়ার কথা জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মিতুর বাবা শুরুতে জামাতার উপর আস্থা রাখার কথা জানালেও পরে তিনি তাকেই সন্দেহ করার কথা জানান। তবে বাবুল তা অস্বীকার করে আসছেন। হত্যাকাণ্ডের কয়েক দিনের মাথায় ২০১৬ সালের ২৬ জুন আনোয়ার ও মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম নামে দুজনকে গ্রেপ্তারের কথা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। পরে বলা হয়, আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে তারা হত্যাকাণ্ডের মূল ‘পরিকল্পনাকারী’ হিসেবে কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছার নাম বলেছেন। আর হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি সরবরাহ করেন নগরীর বাকলিয়া এলাকার এহেতেশামুল হক ভোলা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএসএ শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা
পরবর্তী নিবন্ধকরোনায় দেশে আরও ১৩ জনের মৃত্যু শনাক্ত ৪৮৫