মিতু খুনে বাবুল যে জড়িত ঘটনার দিনই পুলিশকে বলেছি

তৃতীয় কার্যদিবসের জেরায় মিতুর বাবা

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১১ মে, ২০২৩ at ৫:০৯ পূর্বাহ্ণ

আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তার বাবা মোশাররফ হোসেনকে জেরা করা তৃতীয় কার্যদিবসেও শেষ হয়নি। গতকাল বিকালে জেরা অসমাপ্ত রেখে মামলার কার্যক্রম মুলতবি ঘোষণা করেন চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিন। একপর্যায়ে আগামী ১৬ মের জন্য পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এর আগে বাবুলের আইনজীবীরা মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনকে তার দেওয়া নানা সাক্ষ্যের বিষয়ে জেরা করেন।

আদালতের অতিরিক্ত পাবিলক প্রসিকিউটর কেশব নাথ আজাদীকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মামলাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই মিতুর বাবার জেরা কার্যক্রম শেষ হতে একটু সময় লাগছে। তিনি আদালতের কাছে যে সাক্ষ্য দিয়েছেন তা খন্ডন করার চেষ্টা করছেন বাবুলের আইনজীবীরা। তিনি মামলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী বলেও জানান আইনজীবী কেশব নাথ। জেরা শুরু হলে বাবুলের আইনজীবীরা মোশাররফ হোসেনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি বলেছেন, মিতু খুনে বাবুল আক্তার জড়িত এবং তা ঘটনার দিনই পুলিশকে জানিয়েছেন। কিন্তু ঘটনার দিন রাত থেকে পরের দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত বাবুল ঢাকায় আপনাদের বাসাতে ছিলেন। সেখানে অন্যান্য পুলিশের সাথে বনজ কুমারও ছিলেন। তখন কেন তাদেরকে বিষয়টি বলেন নি? ধরিয়ে দেননি কেন? উত্তরে মোশাররফ হোসেন বলেন, তখন আমি বনজ কুমারকে ছিনতাম না। তবে বিষয়টি পুলিশের কাউকে কাউকে বলেছি।

আইনজীবীরা বলেন, আপনি বলেছেন ঘটনার কিছুদিন পর বাবুলকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ২৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি যে ঘটনায় জড়িত তা স্বীকার করেন। কিন্তু ২৫ তারিখ গণমাধ্যমকে আপনি বলেছেন, বাবুল ষড়যন্ত্রের শিকার। তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আপনার এসব বক্তব্য গণমাধ্যমে এসেছে। আপনার চোখে পড়েনি? উত্তরে মোশাররফ হোসেন বলেন, আমি দেখি নাই। বাবুলের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, ঘটনার পর থেকে মোশাররফ হোসেন একেক সময় একেক কথা বলে আসছেন। সাক্ষ্যতেও এ ধারাবাহিকতা ছিল। এসব নিয়ে তাকে জেরা করেছি। তবে আরো জেরা বাকী রয়েছে। আগামী ১৬ মে পরবর্তী দিন ধার্য রয়েছে। সেদিন তাকে আরো জেরা করা হবে।

আদালত সূত্র জানায়, গত ২ ও ৮ মে তারিখেও মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনকে তার দেওয়া সাক্ষ্য বিষয়ে জেরা করা হয়। দেশজুড়ে আলোচনায় থাকা এ মামলায় গত ১৩ মার্চ চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার কাজ শুরু হয়। এর আগে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুলসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে মহানগর হাকিম আদালতে ২০ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক আবু জাফর মো. ওমর ফারুক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকেজিতে চিনির দাম বাড়ল ১৬ টাকা
পরবর্তী নিবন্ধদুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেলেন হুইপ সামশুল হক চৌধুরী