মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার স্পোর্টে মিলবে আরামদায়ক অফরোডিং অভিজ্ঞতা

এসইউভি গাড়িতে অফরোডিংয়ের শখ পূরণ

| বৃহস্পতিবার , ১৪ নভেম্বর, ২০২৪ at ১২:০১ অপরাহ্ণ

দেশের গাড়ির বাজারে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল বা এসইউভি গাড়িগুলো। অন্যান্য সেগমেন্টের তুলনায় ক্রমশই বাড়ছে এসইউভি’র বিক্রি। জনপ্রিয়তা বাড়লেও আছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কারো মতে এসইউভি গাড়ির দাম থাকে বেশি, আবার যারা অফ-রোডিং পছন্দ করেন তাদেরও একটা আফসোস থেকে যায়। তবে, জাপানিজ অটোমোবাইল কোম্পানি মিতসুবিশি’র নতুন আউটল্যান্ডার স্পোর্ট গাড়িতে আছে ক্রেতাদের সব চাহিদার সমাধান।

মিতসুবিশি বিশেষভাবে বাংলাদেশের আবহাওয়া ও রোড কন্ডিশন মাথায় রেখে তাদের নতুন এসইউভি মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার স্পোর্ট ডিজাইন করেছে। ক্রেতারা গাড়ির ফিচার ও পারফর্ম্যান্স বিবেচনায় সাশ্রয়ী মূল্যেই এটি কিনতে পারবেন। এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো এর বিশেষ ৪টি ড্রাইভিং মোড – নরমাল, ওয়েট, গ্রাভেল এবং মাড মোড, যা সমতল রাস্তার পাশাপাশির চট্টগ্রামের পাহাড়ি রাস্তায় আরামদায়ক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা দিবে এবং চালকরাও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন।

যারা দৈনন্দিন ব্যবহারের ফাঁকে টুকটাক অফ-রোডিংয়ের শখ রাখেন তাদের গাড়িটি বিশেষ আকর্ষিত করবে। অফ-রোডিংয়ের জন্য এমন গাড়ি এর আগে দেশিয় বাজারে আসেনি এবং এটি ব্যবহারে অফ-রোডিংয়ের অ্যাডভেঞ্চারাস অভিজ্ঞতাও আরামদায়ক হবে বলে দাবি করছে মিতসুবিশি। প্রযুক্তি ও আধুনিকতার দিক দিয়ে আউটল্যান্ডার স্পোর্ট বেশ উন্নত। এর সেফটি ফিচারস হিসেবে ৬টি এসআরএস এয়ারব্যাগ ছাড়াও বাচ্চাদের বাড়তি নিরাপত্তা দিতে আছে চাইল্ড সেফটি লক এবং আইএসও-ফিক্স চাইল্ড সিট সিস্টেমের মতো ফিচারস। এবিএস, ইবিডি, এএসসি, ইএসএস প্রযুক্তি ছাড়াও পিচ্ছিল রাস্তার জন্য আছে এওয়াইসি, পাহাড়ি রাস্তার জন্য আছে এইচএসএ প্রযুক্তি। আছে ইলেক্ট্রনিক পার্কিং ব্রেক ও পার্কিং সেন্সর, টায়ার প্রেশার মনিটরিং সিস্টেম, রিয়ারভিউ ক্যামেরা ইত্যাদি।

আউটল্যান্ডার স্পোর্টের দৈর্ঘ্য ৪৩৯০ মি.মি, প্রস্থ ১৮১০ মি.মি, এবং ১৬৩৫ মি.মি উচ্চতা থাকায় ২২২ মি.মি গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স পাওয়া যাবে। ১৪৯৯ সিসি’র এই গাড়িতে ৪-এ-৯১ ডিওএইচসি ১৬-ভাল্ভ ৪ সিলিন্ডার (১.৫এল মাইভেক) ইঞ্জিন আছে, আছে সিভিটি (এফ-১-সিডব্লিউএ) ট্রান্সমিশন। ১৮ ইঞ্চি মেশিন কাট অ্যালয় হুইল ও ইপিএস প্রযুক্তির সাথে বাংলাদেশের রোড কন্ডিশন বিবেচনায় গাড়ির সামনের ম্যাকফেরসন স্ট্রাট ও পেছনে টরসিওন বিম সাস্পেনশন যুক্ত হয়েছে। আছে ৫.২ মি. টার্নিং রেডিয়াস। আরও আছে ৩৪-বি-১৯-এল ব্যাটারি এবং ৪২ লিটার জ্বালানি ধারণক্ষমতা। প্রতি ঘন্টায় গাড়ির সর্বোচ্চ গতি উঠবে ১৭০ কি.মি।

গাড়ির স্টিয়ারিং প্যানেলেও আছে নানাবিধ প্রযুক্তির ছোঁয়া। আছে ১২.৩ ইঞ্চির এসডিএ এইচডি টাচ প্যানেল ডিসপ্লে, যা এসইউভি সেগমেন্টের গাড়ির মধ্যে সবচেয়ে বড় ও উন্নত। এতে আধুনিক অ্যাভিওনিক্স ও গুড ড্রাইভিং স্কোরের মতো আধুনিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ড্রাইভারকে তার ড্রাইভিং দক্ষতা সম্পর্কে বুঝতে সাহায্য করবে। এর সুবিশাল ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেমে অ্যানড্রোয়েড অটো, অ্যাপেল কার প্লে, নেভিগেসন সহ সর্বাধুনিক সব প্রযুক্তি আছে। আছে ৮ ইঞ্চি সম্পূর্ণ ডিজিটাল ড্রাইভার ডিসপ্লে (ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, ওয়্যারলেস চার্জিং সিস্টেম, হ্যান্ডস-ফ্রি পাওয়ার টেইলগেট, কুলিং কনসোল বক্স ফাংশন, পেছনের যাত্রীদের জন্য সেকেন্ড রো এসি ভেন্ট, ব্লাইন্ড স্পট ওয়ার্নিং, রিয়ার ক্রস ট্রাফিক অ্যালার্ট (আরসিটিএ) ইত্যাদি ফিচারসও। এই সেগমেন্টের গাড়িতে সাধারণত ১৬-১৭ ইঞ্চির স্পেয়ার অ্যালয় হুইল থাকলেও আউটল্যান্ডার স্পোর্টে থাকবে ১৮ ইঞ্চির স্পেয়ার অ্যালয় হুইল। রাত্রিকালীন গাড়ি চালানোর সুবিধার্থে আছে অটো ডিমিং রিয়ার ভিউ মিররসহ আরও বিভিন্ন আধুনিক ফিচারস।

গাড়ির ইন্টিরিয়র কালো রঙের, সাথে আছে সিন্থেটিক লেদারে মোড়ানো অত্যন্ত প্রিমিয়াম ও আরামদায়ক সিট। গাড়ির পেছনে তিন জনের আরামে বসার জন্য যথেষ্ট জায়গা আছে। ইন্সট্রুমেন্টাল প্যানেলের হরিজন্টাল অ্যাক্সিস ডিজাইনের জন্য ইন্টিরিয়রের সামনের জায়গাটা বেশ বড় ও খোলামেলা লাগবে। গাড়ির ব্যাকস্পেসও বেশ চওড়া এবং জিনিসপত্র, মালামাল রাখার জন্য অনেক জায়গা আছে।

আউটল্যান্ডার স্পোর্টের ইন্টিরিয়র-এক্সটিরিয়র ফিচার নিয়ে ইতোমধ্যেই গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে, দাম নিয়েও গ্রাহকরা সন্তুষ্ট। মাত্র ৪৯,৫০,০০০/- (৪৯ লক্ষ ৫০ হাজার) টাকায় কেনা যাবে গাড়িটি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাওনা টাকা চাওয়ায় দোকানদারকে দায়ের কোপ, আটক তুফান নাছির
পরবর্তী নিবন্ধবাঁশখালীতে পৃথক অভিযানে মাদকসহ গ্রেপ্তার ৩