দেশের মডেলিং জগতের অন্যতম দিকপাল আদিল হোসেন নোবেল। ব্যক্তিত্বে যিনি অনন্য, তার সৌন্দর্য ও ভুবন ভুলানো হাসিতে মুগ্ধ প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম। দেশের এই সুপারস্টার এ প্রজন্মের অনেক মডেল কিংবা অভিনেতার ‘আইকন’।
দীর্ঘ তিন দশক ধরে শোবিজে কাজ করছেন নোবেল। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই মডেলিং জগতে শীর্ষস্থানটি নিজের দখলে রেখেছেন এই তারকা। তবে আজকের এই অবস্থানে আসার যাত্রাটা তার কেমন ছিল? নোবেল বলেন, মূলত আমার মামাতো ভাই নাসের এবং তার স্ত্রী তুলি আপার অনুপ্রেরণাতেই আমার মিডিয়াতে আসা। এরপর বিভিন্ন ফ্যাশন শোতে অংশ নেওয়া। পরে আফজাল হোসেন ভাইয়ের বিজ্ঞাপনে কাজ করে পরিচিতি পাই। এরপর আফজাল ভাইয়ের নির্দেশনায় বহু বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি। আজকে আমার নোবেল হয়ে ওঠার পেছনে তার নির্দেশনার কাজগুলোই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আজকের অবস্থান নিয়ে আমি বরাবরই শুকরিয়া আদায় করি। খবর বাংলানিউজের।
নব্বই দশকে ক্যারিয়ার শুরুর পর বহু বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে পারফর্ম করেছেন নোবেল।
তারপর বিজ্ঞাপন জগতে অনেক মডেলই এসেছেন, কিন্তু কেউ নোবেলের জনপ্রিয়তাকে ছাপিয়ে যেতে পারেননি। একজন পারফর্মার হিসেবে নিজেকে যতটা স্টাইলিস্ট হিসাবে নিজেকে উপস্থাপন করা যায়, নোবেল তা বেশ সচেতনভাবেই করে যাচ্ছেন এখনও। শুধু মডেলিংয়েই নন, টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন চিরতরুণ এই তারকা। ১৯৯৪ সালের ৮ ডিসেম্বর বিটিভিতে প্রচার হয় আতিকুল হক চৌধুরী পরিচালিত নোবেল অভিনীত প্রথম নাটক ‘প্রাচীর পেরিয়ে’। এতে নোবেলের নায়িকার চরিত্রে দেখা যায় বিপাশা হায়াতকে।
এছাড়া নোবেল অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘কুসুম কাঁটা’, ‘ছোট ছোট ঢেউ’, ‘তাহারা’, ‘প্রিমা তোমাকে’, ‘শেষের কবিতার পরের কবিতা’, ‘বৃষ্টি পরে’, ‘নিঃসঙ্গ রাধাচূড়া’, ‘তুমি আমাকে বলোনি’, ‘হাউজ হাজব্যান্ড, ‘সবুজ আলপথে’ ইত্যাদি। নোবেল একসময় চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছেন নিয়মিত। কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করেননি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বর্তমানে একটি টেলিকমিউনিকেশন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন তিনি। ব্যক্তি জীবনে এক মেয়ে ও এক ছেলের পিতা এই মডেল-অভিনেতা।